সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নান্দাইলে বলদা বিলে পলো-জালে মাছ ধরার উৎসব

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ৫ নভেম্বর, ২০২৩

ময়মনসিংহের নান্দাইল ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী বলদা বিলে  পলো-জালে মাছ ধরার উৎসব হয়েছে।

ফজরের নামাজের পরই ঈশ্বরগঞ্জ, নান্দাইল ও গৌরিপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মানুষ এসে জড়ো হন বিল পাড়ে। কারো হাতে পলো, কারো হাতে জাল। সবার গন্তব্য বিল।

রবিবার (৫ নভেম্বর) ফজরের নামাজের পরই মাছ শিকারিদের মিলন মেলা ‘হাইত উৎসব শুরু হয়। এতে হাজারো মাছ শিকারি অংশগ্রহণ করেন।সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে বলদা বিলের এই মাছ শিকারের উৎসব।

হাইত উৎসবে স্থানীয়দের পাশাপাশি দূর-দুরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন মানুষও অংশ নেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত চলে বাপাইল বিলের এই মাছ শিকারের উৎসব। 

হাইত উৎসবে নানা বয়সী মানুষের সঙ্গে শিশুদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। মাছ ধরার উৎসব হবে এ খবর আগেই বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল।উৎসবের আগের রাতেই বিল এলাকার আশপাশে অবস্থান নিয়েছিলেন হাজারো সৌখিন মাছশিকারি।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মাছ ধরতে লোকজন জড়ো হন। গ্রামীণ মাছ ধরার উৎসব দিন দিন কমে আসায় এ উৎসব দেখতে ও মাছ ধরতে ভিড় করেন বিভিন্ন উপজেলার উৎসুক মানুষও। মাছ ধরা দেখে আনন্দ পান অনেকেই। থেমে থেমে হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেন উৎসবে মাছ ধরা মানুষেরা।

স্থানীয়রা জানান, তিন থেকে চার বছর আগে এই বলদা বিলে হয়েছিল হাউক (হাইত) উৎসব। পরে কয়েকবছর ধরে আর হয়নি এই উৎসব। এবার সেই আক্ষেপ পূরণ হয়েছে নান্দাইলবাসীর।

মাছ শিকারিরা বলছেন, বিলটিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ছিল। বোয়াল,রুই,কাতলা, পাঙ্গাশ, শোলসহ বিভিন্ন দেশি প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে। 

মাছ শিকারিরা পলো, ডুবা ফাঁদ, চাঁইসহ বিভিন্ন ধরনের জাল ও সরঞ্জাম নিয়ে মাছ শিকার করতে বিলে নেমে পড়েন। 

বিলের দুপাশে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নারী-পুরুষ হাইত উৎসবের মাছ শিকার দেখতে এসেছেন। সব মিলিয়ে বিল ও আশপাশের এলাকায় আনন্দমুখর এক পরিবেশের তৈরি হয়। 

হাইত উৎসবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়ন থেকে পলো নিয়ে আসা মাছশিকারি রফিকুল ইসলাম ও এমদাদুল হক বলেন, মোটামুটি ভালো মাছ ধরেছি। আমরা বোয়াল, রুই-কাতল ও শোল মাছও পেয়েছি। এছাড়াও যারা ঠেলা জাল ও টানা জাল নিয়ে এসেছে তারা প্রচুর দেশীয় প্রজাতির মাছ শিকার করেছে।

উপজেলার বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের লোহিতপুর গ্রামের বাসিন্দা সেলিম  বলেন,হাইত উৎসবে মাছ শিকার করতে এসে অনেক আনন্দ পাইছি। সবার সঙ্গে মাছ ধরতে বিলে নেমে মাছও পাইছি অনেক।

শ্রীপুর গ্রামের বাসিন্দা জনি বলেন,হাইত উৎসবের আনন্দই আলাদা। মাছ তেমন না পেলেও অনেক মজা পাইছি। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর