সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বেড়িবাঁধে ভাঙন হুমকিতে কয়রায় একাধিক গ্রাম

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

সুন্দরবন ঘেঁষা খুলনার কয়রা উপজেলার বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ২ নম্বর কয়রা গ্রামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধের ১৩-১৪/২ নম্বর পোল্ডারের ২০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে ধসে পড়ে।

 

কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ ভাঙনে হুমকিতে পড়েছে বাঁধ সংলগ্ন ২ নম্বর কয়রা, গোবরা, ঘাটাখালী, হরিণখোলা, মদিনাবাদ গ্রামসহ কয়রা উপজেলা সদরের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের তীরে বসবাসকারীদের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ভর করছে।

 

এছাড়া ভাঙন রোধে অবিলম্বে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে প্রায় দুই হাজার একর আমন ফসলের ক্ষেতসহ অসংখ্য মাছের ঘের নদীর লোনা পানিতে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

 

২ নম্বর কয়রা গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় গ্রামের কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বাসিন্দারা বেড়িবাঁধে হঠাৎ ফাটল ও ধস দেখে। সহায় সম্পত্তির ক্ষতির আশঙ্কায় এলাকার কিছু মানুষ ওই রাতেই বাঁধ রক্ষায় কাজ শুরু করেন। তবে সকালে ভাঙনরোধে পাউবোর দেওয়া পাঁচ শতাধিক জিও ব্যাগ ও বড় বড় মাটির খণ্ড নিয়ে বেড়িবাঁধের ২০০ মিটার অংশ মুহূর্তেই নদীতে বিলীন হয়ে যায়।

 

বেড়িবাঁধ এলাকায় দেখা যায়, বাঁধের যে স্থান ভেঙে গেছে, এর দুপাশের মাটি সরে গিয়ে বালু বেরিয়ে গেছে। বালু নদীর ঢেউ লেগে ধুয়ে যাচ্ছে। ধসে যাওয়া স্থানে সংস্কারের চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কেউ পাশ থেকে মাটি কেটে ধসে যাওয়া স্থানে ফেলছেন। আবার কেউ বাঁধের ঢাল থেকে জিও ব্যাগ তুলে ধসে যাওয়া বাঁধের স্থানে দিচ্ছেন।

 

এ সময় ২ নম্বর কয়রা গ্রামের বাসিন্দা আবু মুসা ও আসলাম হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মাত্র দুই বছর আগে এ বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। অথচ এরই মধ্যে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। 

 

তারা বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মাণের সময় ওপরে ও বাঁধের দুই পাশে মাটি দেওয়া হলেও ভেতরে বালু দেওয়া হয়। এ কারণে বাঁধ দুর্বল হয়ে ধসে গেছে।

 

একুশে সংবাদ/আ.ভ.প্র/জাহা   

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর