সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ভেঙে যাচ্ছে মেরিন ড্রাইভ সড়ক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ৪ আগস্ট, ২০২৩

বৈরী আবহাওয়ায় ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের পাশাপাশি উত্তাল রয়েছে সাগর। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সড়কে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ঢেউয়ের আঘাতে উপড়ে যাচ্ছে ঝাউগাছ, তলিয়ে যাচ্ছে জিওব্যাগ, তছনছ হচ্ছে বালিয়াড়ির রাস্তা। ভাঙনের মুখে সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।

 

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল। রয়েছে বাতাস। কিন্তু বৃষ্টি নেই। আর জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে।

 

জেড স্কী চালক শাকিব উদ্দিন বলেন, ‘সাগর উত্তাল থাকায় গত দুদিন ধরে জেড স্কী চালানো যাচ্ছে না। সকালে একটু করে নামানোর চেষ্টা করা হলেও পরবর্তীতে ঢেউয়ের তীব্রতার কারণে নামানো যায়নি।’

 

কিটকট ব্যবসায়ী ইদ্রিস বলেন, ‘সাগর উত্তাল ঢেউয়ের আঘাত তীব্র। তাই পর্যটক বসার কিটকট (ছাতা) বালিয়াড়িতে বসানো যায়নি। সব কিটকট স্তূপ করে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।’

 

সৈকতের লাবনী পয়েন্টের গণশৌচাগারের দায়িত্বে থাকা ওসমান বলেন, ‘তিনদিন ধরে ভয়াবহ ঢেউ আঘাত করছে স্থাপনায়। শুধু এই স্থাপনায় নয়, তীব্র ঢেউয়ের আঘাতে হুমকিতে রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের টাওয়ার, পুলিশ ফাঁড়িসহ বেশ কয়েয়টি স্থাপনা। জিওব্যাগও রক্ষা করতে পারছে না।’

 

সৈকত পাড়ার লাইফগার্ড কর্মী মোহাম্মদ শুক্কুর বলেন, ‘সৈকতে লাল পতাকা টাঙানো পাশাপাশি পর্যটকদের সতর্ক করতে মাইকিং করা হচ্ছে।’

 

এদিকে, সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে ভাঙন ধরেছে। ছোট-বড় অন্তত  ১০টি স্পটে এই ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভেঙে যাওয়া অংশ এখনই মেরামত করা না হলে ব্যাপক ভাঙনে মেরিন ড্রাইভ সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

 

টেকনাফের পশ্চিম মুন্ডার ডেইল এলাকার প্রায় ৬০ মিটার সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ভেঙে গেছে। এছাড়া গত দুদিনে টেকনাফের বাহারছড়া, হাদুরছড়া, দক্ষিণ মুন্ডার ডেইল এলাকায় দশটি স্পটে মেরিন ড্রাইভে নতুন করে ভাঙছে।

 

জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতি জানিয়েছে, বৈরী আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে চারটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন এক জেলে। আর উদ্ধার করা হয়েছে অর্ধ-শতাধিক জেলেকে।

 

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘সাগরের জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশি। মেরিন ড্রাইভের কয়েকটি স্পটে ভাঙন ধরেছে। তবে ভাঙনরোধে কাজ শুরু করছে।’

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর