ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলায় দুটি আটো রাইস মিলসহ ১০৪ টি হাসকিং মিলের মিলিং এবং মিলের নামীয় খাদ্যসশ্য ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করা হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কতৃপক্ষকে চিঠি দেয় খাদ্য বিভাগ। কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। লাইসেন্স ছাড়াই মিলের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন তারা।
তবে খাদ্য বিভাগ বলছেন, পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা খদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সরকারীভাবে আভ্যন্তরী বোরো সংগ্রহ-২০২১ খ্রিঃ মৌসুমে চুক্তিযোগ্য কিন্তু চুক্তি না করা এবং চুক্তি করার পরও কোন চাল সরবরাহ না করায় গত ২৪/১০/২১ তারিখে খাদ্য অধিদপ্তরের স্বারক নং-১৯৫ এবং আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক রংপুর এর স্বারক নং- ১৫১৮ মোতাবেক ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার জে আর এবং চৌধুরী এগ্রো ইন্ডাষ্ট্রিজ নামে দুটি আটো রাইস মিলসহ ১০৪ টি হাসকিং মিলের মিলিং এবং মিলের নামীয় খাদ্যসশ্য ব্যবসায়ী লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
সেই সাথে সেসব মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারকে অনুরোধ জানিয়ে গত ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর চিঠি দেন (স্বারক নং ৪৩৭)। কিন্তু এখন পর্যন্ত একটি মিলেও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি পল্লী বিদুৎ কতৃপক্ষ।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
পল্লী বিদ্যুৎ মমিতির পীরগঞ্জ জোনাল অফিসের উপ-মহা ব্যবস্থাপক বাচ্চু মিয়া বলেন, এমনটা হলেও আমাদের কিছু করার নাই। কারণ অন্য দপ্তরের নির্দেশনা বা অনুরোধ আমরা পালন করবো কেন ? আমাদের দপ্তর থেকে নির্দেশনা পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থানা মন্ত্রনালয়ের ২০০৮ সালের জারি করা প্রজ্ঞাপনের ৪ ধারা অনুযায়ী সরকারের লাইসেন্স ছাড়া কোন ব্যক্তি শক্তিচালিত যন্ত্র দ্বারা ধান ছাটাই করণ, ধান ও চাল ক্রয় বিক্রয় এবং চাউলজাত দ্রব্য প্রস্তুর করণ ও বিক্রয় সংক্রান্ত ব্যবসা পরিচালনা করিতে পারিবেন না মর্মে উল্লেখ করা হয়। মন্ত্রনালয়ের জারি করা ঐ প্রজ্ঞাপনকে উপেক্ষা করে পীরগঞ্জে লাইসেন্স বাতিল হওয়া আটো এবং হাসকিং মিলগুলি অবাধে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন।
এ বিষয়ে জে আর অটো রাইস মিলের ম্যানেজার সোহাগ জানান, লাইসেন্সের জন্য নতুন করে আবেদন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিয়াউল ইসলাম শাহ বলেন, উপজেলায় বর্তমানে ৯৬টি মিল রয়েছে। যারা সরকারের সাথে এবার চুক্তিও করেছেন। যাদের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে তারাও অনেকে ব্যবসা করছেন বলে শুনেছি। বিষয়টির প্রতি আগে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এখন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহরিয়ার নজির জানান, বিষয়টি তার জানা ছিল না। খোঁজ খবর নিয়ে দেখবেন এবং প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন বলে জানান।
একুশে সংবাদ/ল.ল.প্র/জাহা