সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

অফিসরুমে শিক্ষক-শিক্ষিকার আপত্তিকর কর্মকাণ্ড

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:১৩ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২৩

নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিসরুমে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।

 

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী ও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবকের পক্ষে শেখর আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। 

 

এঘটনা প্রকাশের পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

 

জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার বেগুনজোয়ার উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান। এ বিদ্যালয়টি তিনটি ইউনিয়নের শেষ সীমানা যমুনার নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় বিদ্যালয়ে তিনটি ইউনিয়ন থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে থাকে। কিন্তু বিগত কয়েক বছর যাবৎ অত্যন্ত নারী লোভী, অবৈধ ক্ষমতা বিস্তারকারী এবং অর্থলোভী প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন এবং বেশ কয়েকবার বিচারের মুখামুখী হয়েছিলেন সে। কিন্তু কিছু অদৃশ্য শক্তির কারণে ছাড় পেয়ে বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

 

সম্প্রতি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোসা. রিফাত আরার সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিস রুমে অনৈতিক কার্যকলাপ করে। এ ঘটনা ঘটার পরেও মানেজিং কমিটির নিকট অভিযোগ দেওয়া হলে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।

 

অভিযোগে বলা হয়, মানেজিং কমিটিও একটি পুতুল কমিটি হিসেবে রয়েছে। যা বিগত কয়েক বছর যাবৎ অভিভাবকের আশা- আকাঙ্খার কমিটি গঠন হয় নাই। এমতাবস্থায় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদ এর সঙ্গে সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রিফাত আরা এর সঙ্গে অসামাজিক ও অনৈতিক কার্যকলাপের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযোগকারী শেখর আহমেদ বলেন, আমি এলাকার একজন সচেতন মানুষ হিসাবে এই ঘটনার ভিডিও ক্লিপ দেখে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি ওই দুই শিক্ষকের যথাযথ ব্যবস্থা চাই।

 

এবিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষিকা (ইংরেজি) মোসা. রিফাত আরা তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ মিথ্যে দাবী করে বলেন, আমি খুব ভালো মানুষ। কে বা কাহারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন। তবে দৈনিক শিক্ষা ডটকমের হাতে থাকা ভিডিওর বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

 

এবিষয়ে জানতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সাদাত শামিম আহমেদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

 

অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগটি এখনো আমার হাতে আসেনি। হাতে এলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/ফি.হ.প্র/জাহা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর