সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ফুঁসে উঠেছে তিস্তার পানি, খুলে দেওয়া হয়েছে ৪৪ গেট

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ১৭ জুন, ২০২৩

উজানের ঢল ও কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তিস্তার নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হয়েছে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট।

 

শনিবার(১৭ জুন) দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৯৩ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ২২ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

 

এর আগে সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় এই পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ০৬ সেন্টিমিটার ও ৫২ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার।

 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম একুশে সংবাদ.কম কে বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে তিস্তার পানি পানি বাড়তে শুরু করেছে। সকাল থেকে পানি প্রবাহ কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এভাবে কমতে থাকলে বিকেলে দিকে পানি কমে যেতে পারে।’

 

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা একুশে সংবাদ.কম কে বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বেড়েছে। তবে ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘পানি বাড়া কমার মধ্যে থাকবে। পানি বাড়লে তিস্তাপাড়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। বন্যা মোকাবিলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সর্বদা প্রস্তুত আছে।’

 

এদিকে হটাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি উঠেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এছাড়াও ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা।

 

ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই এলাকার বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, ‘হটাৎ রাতে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতংকিত হয়ে পড়েছি। পানির বেড়ে যাওয়া আমরা রাত জেগে ছিলাম। তবে বর্তমানে কিছুটা কমেছে পানি।’

 

একই এলাকার একরামুল হক বলেন, ‘এতদিন তো নদীতে পানি ছিল না। হটাৎ পানি বাড়ছে। ভারত মনে হয় পানি ছাড়ি দিছে। আমাদের যখন পানি লাগে তখন ভারত পানি দেয় না। আর এখন হটাৎ তারা পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের এলাকায় বন্যা সৃষ্টির পায়তারা করছে।’

 

টেপাখড়িবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান ময়নুল হক একুশে সংবাদ.কম কে বলেন, ‘আমার এলাকার কিছু জায়গায় পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। ওসব এলাকাগুলোতে সবসময় খোঁজ খবর রাখছি।’

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর