সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আনোয়ারায় তীব্র তাপদাহে তীব্র লোডশেডিং, বিপর্যস্ত জনজীবন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:০৭ পিএম, ১০ মে, ২০২৩

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় লোডশেডিং তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে মানুষের জীবনযাত্রা কষ্ট সাধ্য হয়ে উঠেছে। এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা বিদ্যুতের অভাবে ঠিক মতো পড়ালেখা করতে পারছে না।

 

আনোয়ারা উপজেলায় কেইপিজেড অবস্থান হওয়ার কারণে সারাদিন পরিশ্রম করে হাজার হাজার শ্রমিকরা রাতে ঘুমাতে পাচ্ছে না। ধানের মৌসুমে শ্রমিকরা সারাদিন হাড়ঁভাঙ্গা পরিশ্রম করে রাতে লোডশেডিং এর কারণে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।

 

বিদ্যুৎ অফিসের বক্তব্য, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তবে সাধারণ জনগণ মনে করেন দিনে ও রাতে বেশি ভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় আনোয়ারায় তীব্র গরমের মধ্যে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। কেইপিজেডে কর্মরত একাধিক শ্রমিকরা জানান, গভীর রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়, গরমে আবদ্ধ ভাড়া ঘরে কেউ ঘুমাতে পারে না।

 

এসএসসি পরীক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যুতের বারবার লোডশেডিং এর কারণে ঠিকমতো পড়ালেখার মনোযোগ বিঘ্ন হচ্ছে। বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা বলছেন, লোডশেডিং বৃদ্ধির পাশাপাশি তীব্র গরম পড়তে থাকায় গ্রাহকরা অসন্তুষ্ট হয়ে উঠছে সেটা তারাও বুঝতে পারছেন।

 

আনোয়ারা উপজেলা পল্লী বিদ্যুত অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন জানান, লোডশেডিং এখন জাতীয় সমস্যা। যত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমাদের দেওয়া হয়। সেখান থেকে আমরা কিছু রেখে দিতে পারি না। সব বিতরণ করা হয়। লোডশেডিং অথবা বিদ্যুত না দেওয়া নিয়ে আমাদের কোন হাত নেই। সাধারণ জনগণের ধারণা আমাদের উপর ক্ষোভ সেটা ভূল ধারণা।

 

তবে শীঘ্রই এই লোডশেডিং কাটিয়ে উঠা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড পটিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন বলেন, তীব্র গরমে চাহিদা অতিরিক্ত হওয়ার কারণে আরো কয়েকদিন লোডশেডিং থাকতে পারে।

 

তবে কয়েকদিন পরে আস্তে আস্তে লোডশেডিং কমে স্বাভাবিকতায় চলে আসবে বলে জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর