টানা ১৩ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গায় চলছে তাপপ্রবাহ। চলতি মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা এখন চুয়াডাঙ্গায়। অস্থির হয়ে পড়েছে জনজীবন। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আগামী ২১ এপ্রিলের পর থেকে তাপদাহ কমতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামিনুর হক।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ জেলায় সকাল ৯টায় ছিল ৩২.০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ছিল ৩৯ শতাংশ। এরপর দুপুর ১২ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০.৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বাতাসের আদ্রতা ১৬ শতাংশ। বেলা ৩টায় তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়ায়-৪১.৭ ডিগ্রীতে। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ১৪ শতাংশ। এভাবে গত ১৩ দিন ধরে জেলায় সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা বিরাজ করছে। দু’তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের রেকর্ড অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ছিল ৪১ ডিগ্রী, বুধবার ছিল ৩৯.৭ ডিগ্রী, মঙ্গলবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সোমবার জেলায় সর্বোচ্চ ৩৯.২ ডিগ্রী, রবিবার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি, শনিবার ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার ৩৭.৫ ডিগ্রি, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি, সোমবার ৩৫.৫ ডিগ্রি, রবিবার ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
এদিকে তীব্র তাপদাহে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা অস্থির হয়ে পড়েছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষেরা। তীব্র তাপদাহে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে না যেতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরের অলিগলি, গ্রাম-গঞ্জে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে।
একুশে সংবাদ.কম/রু.দ.প্র/জাহাঙ্গীর