সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

টাকা আত্মসাত, কেশরহাট পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ১৪ মার্চ, ২০২৩

রাজশাহীর কেশরহাট পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে মামলা করেছেন এক কাউন্সিলর।  পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত ও জেলা দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করেছেন ওই পৌরসভার কাউন্সিলর একরামুল। গত ৬ মার্চ তিনি আইনজীবির মাধ্যমে মামলাটি দায়ের করেন।

 

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে কেশরহাট পৌর মেয়র শহিদুজ্জামান দায়িত্ব পালনের সময় বিধি বিধান, নিয়ম নীতি নৈতিকতার তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে করে পৌরসভার বিপুল পরিমাণ টাকা আত্নসাৎ করেছেন।  

 

এডিপি কর্তৃক পৌরসভার আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ২০১৬-২০১৭ হইতে গত অর্থ বৎসর পর্যন্ত প্রতি অর্থ বৎসরে  মোট ২৬ লক্ষ টাকা  টেন্ডারের মাধ্যমে ব্যয় হওয়ার কথা থাকলেও আসামী মেয়র টেন্ডার আহব্বান না করে ভূয়া কোটেশন দেখিয়ে ইচ্ছে মত বিল ভাউচার বানিয়ে তা সম্পূর্ণ আত্মসাৎ করেন।

 

রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক ঘেসে রাজশাহী অঞ্চলের বিখ্যাত আর্থিক লেনদেন সমৃদ্ধ বাজার কেশরহাট হতে ইজারা মূল্য, স্থানী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস হতে প্রাপ্ত অর্থ ও হোল্ডিং ট্যাক্স হতে ১ কোটি টাকার বেশী অর্থ আদায় হলেও সে অর্থ কোনো নিয়মের তোয়াক্কা না করে নামে-বেনামে বিভিন্ন ভূয়া বিল ভাউচার দাখিল করে অধিকাংশ অর্থ আত্মসাৎ করেন।

 

মোহনপুরের কেশরহাটপৌরসভার উন্নয়নে সরকার কর্তৃক বিশেষ বরাদ্দ বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা পৌরসভার বঞ্চিত, অবহেলিত আপামর জন সাধারণের উন্নয়নে ব্যবহার করার কথা থাকলেও সে খাতে ব্যবহার না করে নিজ অফিসের কথিত সাজ-সজ্জায় বিল ভাউচার ছাড়াই খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

 

বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় এর অধীন জলবায়ু ট্রাষ্ট কর্তৃক বরাদ্দ প্রায় ৩ কোটি টাকা রেজুলেশন ও নিয়ম, নীতি ছাড়া সামান্য কিছু কাজ কর্ম করে বাকী টাকা ভূয়া প্রকল্পে খরচ দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

 

কেশরহাট পৌরসভায় বিএমডিএফ কর্তৃক নির্মিত দ্বিতল ভবনের প্রায় শতাধিক ঘর কোন রেজুলেশন ও নিয়ম, নীতি ছাড়া বিভিন্ন ব্যাক্তিকে বরাদ্দ প্রদান করে প্রায় ৩কোটি টাকা পৌরসভার কোষাগারে জমা প্রদান না করে আত্মসাৎ করেন ৷

 

কেশরহাট পৌরসভায় কোন প্রয়োজনীয়তা ছাড়া এগারো জন পরিছন্নতা কর্মী নিয়োগ দেখিয়ে তাদের বেতন ভাতা বাবদ অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

 

এই বিষয়ে পৌর মেয়র শহিদুজ্জামানের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

 

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি কেশরহাট পৌরসভার ৫ জন কাউন্সিলর মেয়র শহিদুজ্জামান শহিদের বিরুদ্ধে সাত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর