বুধবার (১৮ জানুয়ারী) দুপুরের খাবার খেতে এসে স্বামী সজল কুমার মিস্ত্রি ঘরের আড়ার সঙ্গে ইতি মৌরির ঝুলন্ত মহদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে বানারীপাড়া থানা পুলিশ গিয়ে ইতি মৌরির লাশ উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে এবং মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে (১৯ জানুয়ারী) বৃহস্পতিবার সকালে মহদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে ইতিকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাঁজানো হয়েছে বলে তার বাবা সুখদেব মৌরিসহ পরিবারের দাবি। তারা ইতির মৃত্যুর প্রকৃত কারন উদঘাটন ও বিচার দাবি করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের পূর্ব মলুহার গ্রামের স্বপন কুমার মিস্ত্রির ছেলে দিনমজুর সজল কুমার মিস্ত্রির সঙ্গে ৬ বছর পূর্বে উজিরপুর উপজেলার কালবিলা গ্রামের সুখদেব মৌরির মেয়ে ইতি মৌরির বিয়ে হয়।
এলাকাবাসী জানান, বিয়ের পর থেকে শ্বশুর স্বপন কুমার মিস্ত্রি ও শাশুড়ি নানা অজুহাতে ইতিকে বিভিন্ন সময় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতো।
পুত্র বধুর সঙ্গে শশুর-শাশুড়ির বনিবনা না হওযায় সৃষ্ট পারিবারিক কলহ নিয়ে শালিস-বৈঠক করে ছেলেকে পৃথক করে দেওযার বিষয়টি জানান, তাদের প্রতিবেশী ও ইলুহার ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এসএম কালাম।
যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মাসুদ আলম চৌধুরী জানান, ইতি মৌরির মুত্যু রহস্য উদঘাটনের জন্য সুরহাতাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ বরিশাল শেবাচিম হাসাপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রির্পোট পাওয়ার পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ.কম/রা.সু.প্রতি/সা’দ