সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

গৃহবধূ হত্যায় স্বামী আসামি, প্রথম স্ত্রী হেফাজতে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৪০ পিএম, ২৩ নভেম্বর, ২০২২

বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলায় মারুফা বেগম নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামীকে প্রধান আসামি করে মামলা হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রথম স্ত্রীকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

 

এর আগে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গৃহবধূর বাবা মো. আইউব আলী বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

 

মামলায় গৃহবধূর স্বামী ব্যবসায়ী যুবদল নেতা মিলন খানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাত আরো ৭ জনকে।

 

তাদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে হত্যা ও সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

এদিকে, হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিলন খানের প্রথম স্ত্রী ঝুমুর বেগমকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করে তারপর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে কিনা, বলেন ওসি।

 

তিনি আরো জানান, বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন স্বামী মিলন খানকেও আটক করা হবে। তিনি বর্তমানে পুলিশের নজরদারীতে রয়েছেন।  

 

এর আগে সোমবার দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার রাকুদিয়া গ্রামে বাসাবাড়ির কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে একদল দুর্বৃত্ত প্রবেশ করে। তারা এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে গৃহকর্ত্রী ৩০ বছর বয়সী মারুফা বেগমকে হত্যা করে।

 

এসময় গৃহকর্তা মিলন খানকে কুপিয়ে জখম করে বেঁধে টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে বলে দাবি করেছে পরিবার। কিন্তু ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বিষয়টি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করছে।

 

মারুফার ফুফাতো ভাই সাদিকুর রহমান জানান, বাসায় মিলন খান, মারুফা, দুই সন্তান নিহাদ (৭), মাহিন (৩) এবং জুয়েনা (১২) ছিলো।

 

জুয়েনার বরাতে তিনি বলেন, দুর্বৃত্তরা মারুফা বেগমকে হত্যা করে চলে যাওয়ার সময় জুয়েনার কক্ষে যায়। সেখানে তাকে জাগিয়ে তুলে একজন বলে, তোর খালাকে মেরে ফেলা হয়েছে। চিৎকার করলে তোকেও মেরে ফেলা হবে।  

 

তারা চলে যাওয়ার পর বাসার পিছনের দরজা খুলে জুয়েনা বের হয়ে পাশের ঘরের লোকজন ডেকে আনে। পরে তারা এসে খালু মিলন খানের চোখের বাঁধন খুলে দিয়ে মেডিকেলে পাঠিয়েছে।

 

সাদিকুর রহমান আরো জানান, মারুফার লাশের ময়না তদন্ত শেষে বিকেলে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৮টায় তাকে বাড়ির পাশে দাফন করা হয়েছে।

 

মিলনের ভাই সবুজ খান জানান, রাত দেড়টার দিকে বাসার কলাপসিবল গেট ভেঙ্গে ডাকাত দল প্রবেশ করে। ডাকাতরা বাসায় থাকা নগদ আড়াই লাখ টাকা ও তিন ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করার সময় মারুফা বাঁধা দেয়। তখন ডাকাতরা মারুফাকে কুপিয়ে হত্যা করে। স্ত্রীকে রক্ষায় স্বামী এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়েছে ডাকাতরা। পরে ভাইয়ের মুখমন্ডল কাপড় দিয়ে ও হাত-পা রশি দিয়ে খাটের সঙ্গে বেঁধে রাখে।

 

এটা ডাকাতি না হত্যাকাণ্ড- জানতে চাইলে সবুজ খান বলেন, এটা তো ডাকাতির মতনই, সব কিছু দেখলেই বোঝা যায়। ভাইঙ্গা-চুইরা সব কিছু নিয়া গেছে তারা।

 

একুশে সংবাদ/না.হ.সা.প্রতি/পলাশ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর