বৃহস্পৃতিবার (৬ অক্টোবর) বিকাল ৫ টায় সরজমিনে দেখা যায় সেনা সদস্যের বাড়িতে কলেজ ছাত্রীর অনশন।
দাবিকৃত ১৮ বছর বয়সি কলেজ ছাত্রী আক্কেলপুর ডিগ্রি কলেজে ২য় বর্ষে এইচএসসি পরিক্ষার্থী। সে আক্কেল পুরের বিহার পুর গ্রামের মুমিনের মেয়ে।
ঐ ছাত্রীর অভিযোগ বদলগাছী উপজেলার কোলা ইউপির মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ রুহুলের ছেলে সেনা সদস্য মোঃ মহিউদ্দিন মীর মারুফ (২২) এর সাথে ফেসবুকে পরিচয়। তার পর থেকে গত ৩ বছর যাবত সে আমাকে স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় আমাকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছে। বিয়ে করবে বলে আমার সর্বনাশ করেছে। কিছুদিন থেকে মারুফ তাল বাহনা শুরু করেছে এবং আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে গত রবিবার (২ অক্টোবর) মারুফের বাড়িতে আসি। তার চাচা- চাচী সহ অনেকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) কোলা ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর ইসলাম (স্বপন) এর নেতৃত্বে শালিসি বৈঠকে মারুফের চাচা করিম (৬ অক্টোবর) বেলা ১২ টা পর্যন্ত বিয়ের ব্যবস্হা করার সময় নিয়ে বৈঠক শেষ করে। এর মধ্যে কয়েক বার আমাদের ফোনে দশ থেকে বিশ লক্ষ টাকা দিয়ে মিমাংসা করার কথা বলে মারুফের পক্ষ থেকে। আমরা এতে রাজি না হলে তারা আইন গত ব্যবস্থা নিবে বলে জানান।
এ বিষয়ে কোলা ইউপির চেয়ারম্যান সাহেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, উভয় পক্ষ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। ছেলে পক্ষ বোঝার জন্য সময় নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ছেলের পরিবার আমাকে বলেছে আর তারা মিমাংসায় বসবে না। আমি মেয়ে পক্ষকে বলেছি ছেলে পক্ষ মিমাংসায় বসবেনা। পরে শুনেছি মেয়ে নাকি আবার সেনাসদস্যের বাড়ীতে অবস্থান নিয়েছে।
কলেজ ছাত্রী আরো বলেন, যখন শুনেছি মারুফের সাথে আমার বিয়ে হচ্ছেন না তখন বাধ্য হয়ে আমি আবারও মারুফের বাড়িতে এসেছি। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত কোথাও যাবনা।
মারুফের চাচা জানান, প্রেম ভালবাসা হতেই পারে। তাই বলে একটা মেয়ে বাড়ি পর্যন্ত আসতে পারে সেটা আমরা ভালো ভাবে নিতে পারছি না। তাই আমরা আইনগত ভাবে যা হয় সেটা দেখব।
মুঠোফোনে ছেলে মারুফের সাথে যোগাযোগ করলে বলেন, মেয়ের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে এর সমাধান হয়েছে।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আতিয়ার রহমান সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
একুশে সংবাদিফি.হো/এসএপি