সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ধর্ষণের পর অসুস্থ প্রেমিকাকে হাসপাতালে রেখে পালাল প্রেমিক

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:২৯ পিএম, ৪ অক্টোবর, ২০২২

মাদারীপুরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনার পর প্রেমিক নিজেই ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

 

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (৩ অক্টোবর) রাত ১১টায় এ ঘটনায় মাদারীপুর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।



জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের স্বনির্ভর গ্রামের আশরাফ আলী সরদারের ছেলে সজীব সরদারের (২৩) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী কালিকাপুর ইউনিয়নের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

 

কলেজছাত্র সজীব সরদার রোববার (২ অক্টোবর) কৌশলে তার প্রেমিকাকে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজার এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে তাকে ধর্ষণ করে। একপর্যায় ওই তরুণী অসুস্থবোধ করলে রাত ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তরুণীর পরিবারের নাম ঠিকানা হাসপাতালের রেজিস্টারে ভুল লিখে ভর্তি করে পালিয়ে যায় প্রেমিক সজীব।

 

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, ‍‍`গত রমজান মাসের কিছুদিন আগে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় কলেজছাত্র সজীবের সঙ্গে। সেখান থেকে শুরু প্রেমের। প্রায় এক বছর ধরে ওই যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। রোববার সজীব কৌশলে পুরান বাজারের একটি হোটেলে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে তাকে একটি বোতলে পানি খেতে দেয়। খাওয়ার কিছু সময় পরেই অচেতন হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থী। পরে অচেতন অবস্থাতেই তাকে ধর্ষণ করে সে।

 

স্কুল শিক্ষার্থীর ভগ্নীপতি বলেন, এ ঘটনার পর সজিব যদি আমার শ্যালিকাকে মেনে নেয় তাহলে ভালো। আর যদি সে না মেনে নেয় তাহলে আমরা সরকার এবং প্রশাসনের কাছে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

 

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ধর্ষণের বিষয়টি জানার পরে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে স্পষ্টভাবে বলা যাবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা।

 

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনা জানার পরে সদর হাসপাতালে আমাদের পুলিশ গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

 

একুশে সংবাদ/এস.এম.দে/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর