ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট কাউন্টারে নিজে এসে বকেয়া হিসেব করে টাকা পরিশোধ করেন। তার এ উদার মনোভাব দেখে অনুপ্রেরণায় এবার রেলওয়ের বকেয়া ১ হাজার ১৫ টাকা পরিশোধ করলেন মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান নামের এক ব্যক্তি।
মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন কাউন্টারে বকেয়া টাকা জমা দেন।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল এমদাদুল হক। মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মেরকুটা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি একটি মাদরাসার শিক্ষক।
মাওলানা মোহাম্মদ আবুল হাসানের ভাষ্যমতে, খুব কম সময়ই তিনি টিকিট বিহীন ট্রেন ভ্রমণ করেছেন। অনেক সময় জরুরি রেল ভ্রমণের কারণে টিকিট কাটতে পারেননি। হিসাব করলে হাতেগোনা কয়েকদিন হবে। সব মিলিয়ে ১ হাজার টাকা দিতে চাচ্ছিলেন, টিকিটের হিসাব মিলাতে গিয়ে ১ হাজার ১৫ টাকার স্ট্যান্ডিং টিকিট কাটতে হয়েছে।
তিনি বলেন, দুদকের অবসরপ্রাপ্ত কনস্টেবল এমদাদুল হক পূর্বপরিচিত। তিনি যখন পুরাতন ভাড়া বাবদ টিকিট কাটেন তখন সেই খবরটা আমাকে উৎসাহিত করে। আমি সুযোগ খুঁজছিলাম কীভাবে আমার জীবনের বকেয়া রেল ভাড়া পরিশোধ করা যায়। তখন এমদাদুল সাহেবের সঙ্গে পরামর্শ করলে তিনি নিজেই আমাকে কাউন্টারে নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ১ হাজার ১৫ টাকার আসন বিহীন টিকিট কেটে ভাড়া পরিশোধ করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশনের প্রধান বুকিং সহকারী কবির আহমেদ বলেন, সকালে এমদাদ কল দিয়ে বলেছিলেন, উনার এক বন্ধু বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করতে চান। পরে তিনি বিকেলে আসবেন বলে জানান। যেহেতু আমাদের বকেয়া ভাড়া জমা নেওয়ার সুযোগ নেই, তাই বিকেলে কাউন্টারে এসে ১ হাজার ১৫ টাকার স্ট্যান্ডিং টিকিট কেটে বকেয়া হিসাবে পরিশোধ করেন।
একুশে সংবাদ.কম/এ.খ.জা.হা