সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সাফ জয়ী ফুটবলার আঁখির নামে আদালতের নোটিশ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কাগজে সই করতে রাজি না হওয়ায় সাফজয়ী ফুটবলার আঁখির বাবাকে থানায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে শাহজাদপুর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে। সরকার থেকে পাওয়া জমি নিয়ে তার বাবাকে শাসিয়ে গেছে থানা থেকে এমন অভিযোগ করেছেন আঁখি মা ও বাবা।

 

জানা যায়, ফুটবলার আঁখিকে বাড়ি করার জন্য সরকার থেকে পৌর সদরের দ্বাবারিয়া গ্রামের দ্বাবারিয়া মৌজায় ১নং খতিয়ানে ৪৪৪ নং দাগের ২৫ একর জায়গা থেকে ০৮ একর জমি বাড়ি করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু দ্বাবারিয়া গ্রামের মৃত মেছের প্রাং এর ছেলে মোঃ মকরম প্রাং বাদী হয়ে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।

 

খুন জখম হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষকে ওই নালিশি সম্পত্তিতে স্থিতি অবস্থা (১৪৪ ধারা জারি) বজায় রাখতে বলা হয়েছে। এতে ফুটবলার আঁখি সহ ৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। সেই জারিকৃত নোটিশ বুধবার সন্ধ্যায় ফুটবলার আঁখির বাড়িতে নিয়ে যায় শাহজাদপুর থানা উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মামুনুর রশিদ (মামুন) সহ থানা পুলিশের একটি টিম। সেই কাগজটি সই করতে রাজি না হওয়ায় এএসআই মামুন ফুটবলার আঁখির বাবাকে কটূক্তিসহ থানায় উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে উক্ত এএসআই মামুনের বিরুদ্ধে।

 

আরও পড়ুন- আনন্দের দিনে সাফজয়ী আঁখির বাবাকে শাসিয়ে গেল পুলিশ

 

এবিষয়ে ফুটবলার আঁখির বাবা বলেন, থানা থেকে এক পুলিশ এসে আমাকে বললো আপনি আঁখির বাবা না কি আমি বললাম হে। তখন তিনি বললো আদালত থেকে সমন এসেছে আমাকে এটা সই করে দেন। তখন আমি বললাম ভাই বাদী বা আসামি কোনোটাই না সই করবো কেন। তখন তিনি বলেন জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে আমি তখন পুলিশকে বলেছি আপনারা ইউএনও মহোদয় বা ডিসি স্যারের সাথে কথা বলেন। তখন আমাকে কটূক্তি এবং বাজে ভাষা ব্যবহার করেছে তারা। আর এক পুলিশ সদস্য আমাকে ধরে নিয়ে যাবে বলেছে।

 

অপদিকে আঁখির মা বলেন, থানা থেকে দারগা এসে আমাদের সরকারের দেওয়া জমিতে যেতে বারণসহ নানহুমকি ধামকি ও রাগারাগি করে।

 

এ ব্যাপারে শাহজাদপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ মামুনুর রশিদ (মামুন) সব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতের মাধ্যমে কোর্ট থেকে ১৪৪ ধারা জারির নোটিশ নিয়ে আঁখির বাড়িতে যাওয়া হয়েছিলো। আঁখি বাড়ীতে না থাকায় সেই নোটিশটি আঁখির বাবাকে বুঝে নেওয়ার জন্য একটি সই করতে বলা হয়। এছাড়া কিছুই হয়নি, তাহলে সরি বললেন কেন? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে তিনি এড়িয়ে যান।

 

এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানার অতিরিক্ত সার্কেল (সহকারী পুলিশ কমিশনার) হাসিবুল ইসলাম বলেন, উক্ত অফিসার হয়তো আঁখি খাতুন কে তা চিনতো না তাই হয়তো এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ অনাকাঙ্ক্ষিত যে ঘটনাটি ঘটেছে তার তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আপনাদের এবিষয়ে জানানো হবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/এ.হ.জা.হা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর