সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জীবননগরে শিম চাষে কৃষকের সাফল্য

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:১১ পিএম, ১৭ আগস্ট, ২০২২
ছবি সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে উথলী ইউনিয়নের সন্তোসপুর গ্রামের সবজি চাষি জাহিদুল ইসলামের মুখে এখন সুখের হাসি। সাধারণত শীতকালে শিম চাষ করেন তিনি। এবার নতুন ‘অটো’ জাতের গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে ফলন পেয়েছেন ভালো। আগাম চাষে ভালো ফলন এবং দামও ভালো পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

উপজেলার সন্তোসপুর তেলপাম্পের নিকট ভাইভাই কৃষি প্রোজেক্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রচুর শিমের মাচা। থোকায় থোকায় ঝুলছে শিম। অসময়ে শিম চাষের বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে সবজি চাষি জাহিদুল ইসলাম বলেন,জীবননগর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায়,পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশজ সবজি ও চাষ সম্প্রসারণ প্রযুক্তির 'অটো' জাতের গৃষ্মকালীন শিম আমার প্রজেক্টে এবার ১ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। মাশাআল্লাহ জমিতে মাচায় মাচায় প্রচুর পরিমাণে শিম ধরে আছে। 

এছাড়াও গাছে অসংখ্য ফুল ও জালি দেখা দিয়েছে। অসময়ে শিম তাই পোকা মাকড়ের উপদ্রব কম। শীতকালীন শিম চাষের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন শিমচাষে রোগ-বালাই অনেকাংশে কম। তাই ওষুধ ও সার খরচও কম।আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি সময়ে এই শিমের বীজ বপন করতে হয়। পরবতীের্ত চারা লাগানোর ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসা শুরু হয়। দেড় মাস বয়সের গাছ থেকে শিম তোলা শুরু হয়। ৩ থেকে ৪ দিন পর পর শিম তুলে বিক্রি করা যায়।প্রতি তোলায় এখন ৫০-৬০ কেজি বিক্রি করছি।বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি শিম ১৬০/১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ প্রকল্প হতে চাষিকে গ্রীষ্মকালীন শিমের প্রদশর্নী প্রদান করা হয়। ইতিমধ্যেই বিভাগীয়,জেলা ও উপজেলার অনেক উচ্চ পদস্থ কৃষি কর্মকর্তা তার প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছেন।তার সাফল্য দেখে অনেক চাষি শিম চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। 

 

 

একুশে সংবাদ/হা.নি/এস.আই

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর