সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রাত পোহালেই চুয়েটে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর উদ্বোধন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:১৮ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

দেশের সর্বপ্রথম চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এ স্থাপিত হয়েছে “চুয়েট শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর”। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১৭ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে এই প্রকল্প। চট্টগ্রামের রাউজানের চুয়েট ক্যাম্পাসে প্রায় ৫ একর জমির ওপর ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলা একটি ইনকিউবেশন ভবন এবং ৩৬ হাজার বর্গফুটের ৬ তলা একটি মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন নির্মিত হয়েছে।

বুধবার (৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটির অনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

চুয়েটের সহকারী সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম জানান,প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর, শেখ জামাল ডরমিটরি ও রোজী জামাল ডরমিটরিরও উদ্বোধন করবেন।

অনুষ্ঠানে আরও সংযুক্ত থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম জানান, দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সফল উদ্যোক্তা তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করা এবং ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবোরেশনকে আরও সম্মৃদ্ধ করার পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের সুযোগ আরও অবারিত করার মাধ্যমে এ খাতের আয় প্রত্যাশিত মাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে চুয়েটে সর্বপ্রথম শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে প্রায় ১১৭ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

একাডেমিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে গবেষণা উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য একটি কার্যকরী ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই ইনকিউবেটর ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ স্নাতক (গ্র্যাজুয়েট) তৈরির মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।

শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর প্রকল্পের আওতায় চুয়েট ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ একর জমির ওপর ৫০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ১০ তলাবিশিষ্ট একটি ইনকিউবেশন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও ৩৬ হাজার বর্গফুটের ৬ তলাবিশিষ্ট একটি মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।

ইনকিউবেশন ভবনের মধ্যে রয়েছে- স্টার্টআপ জোন, আইডিয়া/ইনোভেশন জোন, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিক জোন, ব্রেইনস্ট্রর্মিং জোন, ই-লাইব্রেরি, ডাটা সেন্টার, রিসার্চ ল্যাব, বঙ্গবন্ধু কর্নার, এক্সিবিশন বা প্রদর্শনী সেন্টার, ভিডিও কনফারেন্সিং কক্ষ, সভাকক্ষ প্রভৃতি। উদ্যোক্তা ও গবেষকদের কাজের সুবিধার্থে একটি আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ল্যাব, একটি মেশিন লার্নিং ল্যাব, একটি বিগ ডাটা ল্যাব, অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাকবোন, একটি সাব-স্টেশন ও সোলার প্যানেল রয়েছে। এছাড়া ব্যাংক ও আইটি ফার্মের জন্য পৃথক কর্নার, অত্যাধুনিক সাইবার ক্যাফে, ফুড কোর্ট, ক্যাফেটেরিয়া, রিক্রিয়েশন জোন, মেকার স্পেস, ডিসপ্লে জোন, প্রেস বা মিডিয়া কাভারেজ জোন, নিজস্ব পার্কিং সুবিধা প্রভৃতি।

এছাড়া মাল্টিপারপাস প্রশিক্ষণ ভবনে ২৫০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সুসজ্জিত অডিটোরিয়াম এবং ৩০ জনের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন পৃথক ৮টি কম্পিউটার ল্যাব কাম সেমিনার কক্ষ রয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ২০ হাজার বর্গফুট আয়তনের ৪ তলাবিশিষ্ট পৃথক দুইটি (১টি নারী ও ১টি পুরুষ) আবাসিক ডরমিটরি ভবন নির্মিত হয়েছে। প্রতিটি ডরমিটরিতে ৪০টি কক্ষ রয়েছে। এছাড়া দুটি মিনি সুপার কম্পিউটার সম্বলিত অত্যাধুনিক গবেষণা ল্যাব শিগগির স্থাপিত হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রান্ত থেকে চট্টগ্রাম-৬ আসনের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, চুয়েটের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক প্রমুখ অংশগ্রহণ করবেন।


 

 

একুশে সংবাদ/রা.শ/এস.আই

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর