সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ২৬ মে, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদী মরজাল চারাবাগ এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ করেছেন পরিবহন চালকরা।

এই অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা জানতে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলা মরজাল এলাকায় চারাবাগ সিএনজি পাম্পের সামনে সংবাদ কর্মীরা অবস্থান করলে তাদের সামনে পরে ভৈরব হাইওয়ে থানাধীন একটি হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি। হঠাৎ সংবাদ কর্মীরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ক্যামেরা ধার করালে তারা দেখা যাচ্ছে মোটর সাইকেল ধার করিয়ে কাগজ পত্র চেক করছে। 

এক পর্যায়ে মোটর সাইকেল চালক আব্দুল শাহিনের কাগজ পত্র থাকা সত্তেও বিভিন্ন মামলার ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে। এদিকে কিছুক্ষন পর সংবাদ কর্মীদের অবস্থান জানতে পেরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা। শুধু তাই নয়, এই ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কিছু অসৎ পুলিশ সদস্যরা প্রকাশে করছে মহাসড়কে করছে চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজির বিষয়ে আগামী সাত পর্বে তোলে ধরা হবে চানঞ্চলকর তথ্য। তাদের প্রকাশ্যে বেপরোয়া চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে গাড়ির মালিক ও চালকরা।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, মামলার ভয় দেখিয়ে ও কাগজপত্র দেখার নামে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ নিয়মিত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে প্রতিদিন চাঁদা নিচ্ছে। এ ঘটনায় যানবাহনের মালিক ও চালকরা পুলিশের নিকট তাদের অসহায়ত্বের কথা বললেও হাইওয়ে পুলিশ কোনো ছাড় দেয় না। তারা তাদের চাঁদার টাকা ঠিকই আদায় করে নেয়।

ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজি নীরবে সহ্য করে যাচ্ছে যানবাহনের মালিক, শ্রমিকরা। তারা দিন-রাত সমানতালে পুলিশের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হলেও ভয়ে মুখ খুলতে পারে না। মালিক-চালকদের অভিযোগ, টহলের নামে ভৈরব হাইওয়ের পুলিশের চাঁদাবাজি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। দূরের মালবাহী ট্রাক, ছোট পিকআপ টাকা না দিলে রেহাই নেই। মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও টাকার বিনিময়ে নিয়মিত চাঁদা নিয়ে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়। যারা নিয়মিত চাঁদা না দেয় তাদের চরম হয়রানীর স্বীকার হতে হয়।

এ বিষয়ে ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ এর নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেন, এবং তিনি তার মোবাইলে মেসেজ এর মাধ্যমে ক্যামেরায় ধারনকৃত ছবি পাঠানোর জন্য বলেন, ছবি পাঠানো পর কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।

এই ভৈরব থানার দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির বিষয়ে সামনে আরোও চানঞ্চলকর তথ্য আসতেছে, যা পরবর্তীতে পর্বে প্রমাণসহ তুলে ধরা হবে।

 

 

 

একুশে সংবাদ/সা.রু/এস.আই
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর