সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মদনে নির্বাচনী আচরণবিধি মানছেন না প্রার্থীরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:০৫ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২১
ছবি: একুশে সংবাদ

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: পঞ্চম ধাপে ৫ জানুয়ারি নেত্রকোনা মদন উপজেলায় ৮ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। 

এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে নির্বাচনী আচরণ বিধি মানছে না। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যে যার মতো চালাচ্ছে প্রচার-প্রচারণা।  

এ নিয়ে প্রশাসনের নেই কোন নজরদারী। দেওয়ালে পোস্টার লাগানো, বিশেষ করে নির্ধারিত সময়ের পূর্বে ও পরে প্রচার মাইক বাজানো । 

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী আচরণ বিধি মালা ২০১০ এর ধারা নং ৭ এর (গ) ও (ঘ) প্রতিপক্ষের পথসভা বা ঘরোয়া সভা বা অন্যান্য প্রচারাভিযান পন্ড বা উহাতে বাধা প্রদান বা কোন গোলযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। গোলযোগ করিলে নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহন না করে পুলিশ প্রশাসনের শরণাপন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

 এ ছাড়া আচরণবিধি মালা নং ৮ এর (৮)-এ দেওয়ালে পোস্টার লাগানোর কথা নিষেধ থাকলেও  প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় বিভিন্ন দেওয়ালে পোস্টার লাগিয়েছেন। যদিও তা সুতা দিয়ে টানিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে। আচরণবিধি মালার ৯ এর (৩) এ নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসে কোন টেলিভিশন, ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও অনেকেই তা মানছে না। 

অপরদিকে ১৭ এর (খ) এ নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারগণকে কোনরূপ পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন করার বিধি নিষেধ থাকলেও তা না মেনে দেদারসে রাতভর পানীয় খাবার সহ বিভিন্ন কাবার বিতরণ চলছে। 

আচরণবিধি মালার ১৮ (ক) অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হরন করে কোন ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান করার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকেই তা মানছে না। 

শুধু তাই নয়, আচরণবিধি মালার ২১ এর (১) ও (২) এ নির্বাচনী প্রচার মাইক বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালানোর নির্ধারিত সময় দেওয়া থাকলেও তা না মেনে ভোর সকাল থেকে রাতভর প্রচারণা মাইক চালিয়ে যাচ্ছে প্রার্থীগণের পক্ষের লোকজন। এতে করে প্রচার মাইকের উচ্চ শব্দে তথা শব্দ দূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনগণ ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা। ছাড়া আচরণবিধি মালার ২২ এর (১) এ সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী কারও পক্ষে কোন ধরনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহনের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা অনেকেই মানছে না।

উক্ত নির্বাচনী আচরণবিধি মালা লঙ্ঘনে ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হওয়ার কথা থাকলেও এসমস্ত আচরণবিধির তোয়াক্কা না করেই প্রচার- চালিয়ে যাচ্ছে চেয়ারম্যান-মেম্বার ও সংরক্ষিত আসনের  প্রার্থীরা। 

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হামিদ ইকবাল, বলেন এ পর্যন্ত আমাদের নিকট কোন অভিযোগ আসেনি। তবে আচরণ বিধি পর্যবেক্ষণের জন্য অচিরেই মাঠ পর্যায়ে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে ।

এখন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোন অভিযোগ পাইনি পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


একুশে সংবাদ/সা/নে/প্র/এইচআই.

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর