সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দুবলায় শুঁটকি সংরক্ষনে জেলেদের প্রস্তুতি চলছে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:০৯ পিএম, ৩১ অক্টোবর, ২০২১

দুবলা ফিশারম্যান গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে শুটকী প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম। পহেলা নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ শুটকি মৌসুম চলবে। সকল প্রকার বনজ সম্পদ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় মৌসুমের শুরুতেই জেলেরা তাদের থাকার জন্য অস্থায়ী ঘর, মাছ শুকানো মাচা ও মাছ সংরক্ষণের গোলা তৈরিসহ খাদ্য সামগ্রী সাথে নিয়ে এসেছেন। জেলেরা অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করছেন। ঘর নির্মান করতে বাঁশ ও খুঁটি ব্যবহার করছে। 

প্রতিবছর শুটকী আহরণ মৌসুমে বঙ্গোপসাগর উপকূলে সুন্দরবনের দুবলার চর, মেহের আলীর চর, আলোরকোল, অফিসকিল্লা, মাঝেরকিল্লা, শেলারচর, নারিকেলবাড়িয়া, ছোট আমবাড়িয়া, বড় আমবাড়িয়া, মানিকখালী, চাপড়াখালীর চর, কোকিলমনি ও হলদাখালীর চরে জেলে-মহাজনরা অস্থায়ী পল্লী তৈরী করে শুটকী আহরন করে থাকে জেলেরা।

           

এই বিষয়ে দুবলা ফরেস্ট টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রলাদ চন্দ্র রায় মোবাইল ফোনে জানান, শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য নির্ধারিত চরগুলোতে ইতিমধ্যে কয়েক হাজার জেলেরা অবস্থান নিয়েছে। জেলেদের অস্থায়ী ভাবে থাকার জন্য ৯৮৫টি জেলে ঘর, ৬৬টি ডিপো ঘর এবং ৯৬টি দোকানঘর নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবনের কোনো বনজ সম্পদ ব্যবহার করতে পারবেন না জেলেরা তা উল্লেখ করা হয়েছে।

শুটকি মৌসুমের বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত সুন্দরবনের শুটকি মৌসুমে জেলেদের জন্য নিরাপত্তা সহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মৌসুম জুড়ে দুবলার চরে প্রায় ১০ হাজার জেলের সমাগম থাকবে। কোন প্রাকুতিক দুর্যোগ আঘাত না হানলে চলতি বছর রাজস্ব আয় বাড়বে বলে আশা করছে এই বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন।

একুশে সংবাদ/মা/রা

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর