সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কবরস্থানের জমি দখলের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

দিনাজপুরের বীরগঞ্জের করবুলা ডাঙ্গা কবরস্থানের ১৫ একর জমি দখল করে মাটি কাটার প্রতিবাদে ইউএনও বরাবরে অভিযোগ প্রদান করে এলাকাবাসির বিক্ষোভ।

উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের দক্ষিন পলাশবাড়ী এলাকার করবুলা ডাঙ্গা কবরস্থান সংস্কার, উন্নয়ন কমিটির সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ইউসুফ আলী ২৫ অক্টোবর সোমবার জানায়, মোহনপুর ইউনিয়নের ৪টি ও মরিচা ইউনিয়নের ৩টি সহ ৭টি মৌজার ৩৪৮, ৬৯৮, ৬৯৯ দাগের ১নং খাস খতিয়ানের ৫.৭১ একর ও কেদার নাথ জমিদারের ৫৬৫ দাগের ২নং খাস খতিয়ানের মোট ১৫.১৯ একর জমি নিয়ে করবুলা ডাঙ্গা কবরস্থান। কমিটি সিমানা নির্ধারনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন করার কারনে দখলদার বাহিনীর হুমকির মুখে রয়েছে।

সরজমিনে গেলে জসিম উদ্দিন, তসলিম উদ্দিন সহ এলাকাবাসী জানায়, কবর স্থানের জমি স্থানীয় দিলবর, জলিল, নুর ইসলাম (পাষান) গং জবর দখল করে বাড়ীঘর নির্মান করে বসবাস করছে। এলাকার কেউ মারা গেলে উক্ত কবর স্থানে মাটি দিতে বাধা দেয় তারা। এমনকি জমির গাছপালা ও মাটি কেটে বিক্রয় করে সমতল ভুমি বানিয়ে আবাদ করছে।

ইউপি সদস্য তসলিম উদ্দিন জানায়, কবরস্থানটি সংস্কারের লক্ষে ৭ গ্রামের জনগনের উপস্থিতিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়।

মোহনপুর ইউনিয়নের ভুমি উপসহকারী কর্মকর্তা আরজিনা খাতুন জানায়, কবরস্থানের মাটি কাঁটার সংবাদ পেয়ে সরজমিনে গিয়ে বন্দ করে দেওয়া হয়েছে।

অপর দিকে অভিযুক্ত পরিবারের সদস্য সাইফুল ইসলাম, মন্তাজ আলী জানায়, কেদার নাথ জমিদারের ২নং খাস খতিয়ানের ৬ একর জমার জমি ১৯৬৭ সালে তারা বন্দবস্ত পেয়ে অদ্যাবধী ভোগদখল করছে এবং বাড়ীঘর নির্মান করে বসবাস করছে। যার দলিল, খাজনা, খারিজ সহ সকল কাগজপত্র সঠিক আছে। তারা কবরস্থানের জমির মাটি কাটেনি। বন্দবস্তকৃত জমিটি আবাদের সুবিদার্থে সমান করা হয়েছে মাত্র।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগটি পেয়ে সঠিক ঘটনা উদঘাটনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভুমি) কে তদন্তের জন্য নির্দ্দেশ দেওয়া আছে। তদন্ত রিপোট না পাওয়া পযন্ত কিছু বলা জাচ্ছেনা।

এব্যপারে এলাকাবাসী জানায়, কবরস্থানে জমির গাছপালা ও মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ২টি গ্রæপের উতপ্ত পরিস্তিতি তৈরী সৃষ্টি হয়েছে। যা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দ্রæত সমাধানের প্রয়োজন।

একুশে সংবাদ/এনআই/এএমটি
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর