সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ছাত্র সংসদ-চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ থাকালেও আদায় হচ্ছে ফি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৪৪ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রাজধানী ঢাকার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নেই। দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসের চিকিৎসাকেন্দ্রও বন্ধ। তবে ছাত্র সংসদ ও চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মিত ফি আদায় থেমে নেই। করোনা মহামারিকালে টানা প্রায় দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাকালীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ফি মওকুফ করলেও নিয়মিত ফি আদায় করছে ঢাকা কলেজ প্রশাসন। এছাড়া করোনার মধ্যেই বাড়ানো হয়েছে পরিবহন ফি। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। অবিলম্বে তারা এসব ফি পরিহারের দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমনিতেই করোনার কারণে অনেকের পরিবারে আর্থিক অসচ্ছলতা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ছাত্র সংসদ বন্ধ রেখে এবং চিকিৎসাসেবা না দিয়ে এভাবে ফি আদায় সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বর্ধিত এসব ফি মওকুফের আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঢাকা কলেজের চিকিৎসাকেন্দ্রটি বন্ধ। সরেজমিনে দেখা যায়, চিকিৎসাকেন্দ্রটি তালাবদ্ধ অবস্থায়। কোন চিকিৎসা সেবা দেয়া হয় না সেখান থেকে।

ঢাকা কলেজে সবশেষ ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯৩-৯৪ সালে ৷ এরপর দীর্ঘ প্রায় ২৭ বছর পেরিয়ে গেলেও ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। তবে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বার্ষিক ২৫ টাকা করে ছাত্র সংসদ ফি এবং চিকিৎসা বাবদ বার্ষিক ২০ টাকা ফি আদায় অব্যাহত আছে। এছাড়া ক্যাম্পাসে সাহিত্য ও সংস্কৃতির তেমন কর্মকাণ্ড দেখা না গেলেও শিক্ষার্থীদের থেকে প্রতি বছর জনপ্রতি ৫০ টাকা করে সাহিত্য ও সংস্কৃতি ফি আদায় করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী মারুফ হাসান বলেন, করোনার কারণে এমনিতেই আমাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ৷ তার ওপর এসব অতিরিক্ত ফি আদায় একদমই অযৌক্তিক৷ এসব ফি অবিলম্বে পরিহারের আহ্বান জানাচ্ছি ৷

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু নোমান বলেন,দীর্ঘদিন ছাত্র সংসদ নেই, চিকিৎসা কেন্দ্রও বন্ধ৷ তবে শিক্ষার্থীদের থেকে এসব ফি কেন নেয়া হচ্ছে? এসব ফি আদায় অযৌক্তিক৷ দেশের অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মত ঢাকা কলেজেও এসব ফি মওকুফের দাবি জানাই।

ফি আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ছাত্র সংসদের ফি ওই তহবিলেই জমা আছে৷ ওখান থেকে এক টাকাও খরচ হয়নি৷ আর সরকার তো ফি আদায় করতে নিষেধ করেনি।

চিকিৎসা কেন্দ্র বন্ধ থাকার বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, কতিদন ধরে সেটি বন্ধ, আমার জানা নেই৷ আমরা সেটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। সরকারিভাবে ডাক্তার নিয়োগের জন্য আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছি৷ আমরাও চেষ্টা করছি, দ্রুত একজন ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার জন্য৷

 

একুশে সংবাদ/ আশিক

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর