সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

যত দুর্ভোগ শ্রীপুরের দেড় কিলোমিটার সড়কে

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ৩১ আগস্ট, ২০২১

কয়েক বছর যাবত সংস্কার না হওয়ায় এক সময়ের পিচ ঢালাই করা সড়ক এখন মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কের পিচ উঠে খনাখন্দ হয়ে মাটির সড়ক হয়ে গেছে। এখন আর বোঝার উপায় নেই এখানে এক সময় পাকা রাস্তা ছিল। বর্তমান অবস্থা এতোটাই খারাপ যানবাহন তো দূরের কথা পথচারীও পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে পারছে না।

শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া-টেপিরবাড়ী, সচিব গেট-আসপাডা মোড়, ২নং সিএন্ডবি-চন্নাপাড়াসহ বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ সড়কে বর্ষাকালে পায়ে হেঁটে চলাচলের কোনো সুযোগ থাকে না। দীর্ঘদিন সংষ্কার না হওয়া, সড়কের নিচ দিয়ে কল-কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের পানির লাইন নিয়ে মাসের পর মাস সংষ্কারবিহীন ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ ক্রমশ বাড়ছে। 

গিলারচালা গ্রামের বাসিন্দা মমতাজ উদ্দিন ও সফিকুল ইসলাম ফকির জানান, মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য ৩ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে হয়। দেড় কিলোমিটার অনুপযোগী রাস্তার জন্য দুই পাশের উন্নতমানের পাকা রাস্তার সফল ব্যবহার নিশ্চিত হচ্ছে না।

স্থানীয় প্যাডেল চালিত রিক্সার চালক হেলাল উদ্দিন বলেন, মাটির রাস্তা হলেও কষ্ট করে রিক্সা চালানো যায়। কিন্তু, এ সড়কের দেড় কিলো মিটার অংশে কাদা জমে থাকায় রাস্তায় ভারী যানবাহন, ভ্যান-রিকশা দূরের কথা এখন আর পায়ে হেঁটেও পাড়ি দেয়া যাচ্ছে না। রাস্তাটি দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে এক সময় পাকা রাস্তা ছিল।

 

সড়কের পাশে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নাঈম হোসেন বলেন, প্রতিদিন এ সড়কে পাঁচ হাজার মানুষ চলাচল করতেন। অচলাবস্থার কারণে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। বৃষ্টি হলে দোকানে পানি ঢুকে। রাস্তা আর দোকানের মেঝে সমান হয়ে গেছে। কোনো মানুষ ভুল করে এ সড়কে ঢুকে গেলে দোকানের ওপর দিয়ে পারাপার হয়। আর মানুষ চলাচল না করলে বেচাকেনা বন্ধ। বিগত কয়েক বছর যাবত বহু কষ্টে দিন যাপন করছেন তারা।

 

শ্রীপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তবিবুর রহমান জানান, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ইতোমধ্যে তিনটি রাস্তার টেন্ডার দেওয়া হয়েছে। আগামী মাসের মধ্যে একাধিক সড়কের সংষ্কার কাজ শুরু করা হবে। সচিব গেট থেকে আসপাডা মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির সংষ্কার কাজও এরই অংশ হিসেবে থাকবে।

শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছুর রহমান জানান, করোনাকালীণ উন্নয়ন কাজ স্থবির ছিল। অতি সম্প্রতি দ্রæত গতিতে সংষ্কার কাজ সমূহ শুরু হয়েছে। যেসব কাজ বাকি রয়েছে সেগুলো চলতি অর্থ বছরেই সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
 

 

একুশে সংবাদ/এসএম

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর