চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে স্বামীর বাড়ি থেকে ঊর্মি খাতুন নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ২ টার সময় নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা। নিহত গৃহবধূ ঊর্মি খাতুন (২৫) জীবননগর উপজেলার উথলী গ্রামের তেঁতুলতলা পাড়ার জিয়াউর রহমান জিয়ার স্ত্রী।
প্রতিবেশীরা জানায়,প্রতিদিনের মতো স্বামী জিয়াউর রহমান সকাল ৯ টার দিকে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ীসহ অন্য সদস্যরা না থাকায় সবার অজান্তে নিজ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় ঊর্মি খাতুন।
অনেকক্ষণ ধরে ঘরের জানালা দরজা বন্ধ থাকায় প্রতিবেশীদের মনে সন্দেহ হয়। এ সময় তারা ঘরের দরজা ভেঙ্গে সিলিং ফ্যান থেকে ঊর্মি খাতুনের মৃতদেহ মাটিতে নামায়।
ঊর্মি খাতুনের স্বামী জিয়াউর রহমান জানান, দীর্ঘ ৮ বছরে ঊর্মি খাতুনের কোন সন্তান না হওয়ায় সে মানুষিকভাবে অশান্তিতে ভূগছিলেন।এদিকে ঊর্মি খাতুনের পিতা জহুরুল হক জানান,আমার মেয়েকে শশুরবাড়ির লোকজন শারিরীক নির্যাতন করে হত্যা করার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহুরুল হক ঝন্টু জানান,আমার ওয়ার্ডের তেঁতুলতলা পাড়ায় ঊর্মি খাতুন নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পেয়েছি।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
একুশে সংবাদ/নিলয়/আর