সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

একজন মানবিক চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৩০ এএম, ২৪ জুলাই, ২০২১

প্রতিবন্ধী শংকর বিশ্বাস। কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের বুরুয়া গ্রামে তার জন্ম। জন্মের পর থেকেই সে একটু হাবাগোবা। যখন শংকরের বয়স ৮থেকে৯বছর তখন শংকরের মাথায় সমস্যা দেখা দেয়। ডাক পাগল। নিজে নিজে মাথায় আঘাত করতো আর কান্না করতো। একপার্যায় মানুষ দেখলেই ক্ষেপে যেত। পরিবারে অসচ্ছলতার কারণে তাকে পরিবারের থেকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভালো চিকিৎসা না পাওয়ায় শংককে পুনরায় বাড়িতে নিয়ে আসে। 

পরিবার থেকে শংকরের চিকিৎসা একপ্রকারে ছেড়েই দিয়েছিল। ডাক পাগল প্রায়। লোক জন দেখলেই কামড়াতে যেত। এই দৃশ্য চোখে পড়ে কোটালীপাড়া উপজেলার কলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মা‌ইকেল ওঝার।

তিনি এগিয়ে এলেন শংকরের পাশে। মাইকেল ওঝা শংকরের চিকিৎসার জন্য শংকরকে বাড়ি থেকে নিজে কোলে করে রাস্তায় নিয়ে আসলেন। 

চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা বলেন, একটা তাজা প্রাণ এতো অল্প বয়সেই  ধ্বংস হয়ে যাবে এটা মেনে নেয়া যায় না। যদি শংকরের আয়ু থাকে তাহলে সে সুস্থ হবে। এই কথা ভেবে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলেন মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে। দির্ঘ তিন মাস চিকিৎসার পরে সুস্থ হলো শংকর। 

শংকরের বাবা শান্তি রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা শংকরের পাশে না থাকলে শংকর কে বাচানো সম্ভব হতো না, শংকরের চিকিৎসার জন্য তিনি ৬০থেকে৭০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন । এখন সে একটু সুস্থ। আমি চেয়ারম্যানের সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। তিনি এই মানবিক কাজে যেন এগিয়ে থাকেন।

শংকরের চাচাতো ভাই কমল বিশ্বাস বলেন, শান্তি কাকা অসুস্থ, শংকর প্রতিবন্ধী থাকায় পরিবারে আয়ের কোন লোক নেই । তাই চেয়ারম্যান মাইকেল দাদা শান্তির পরিবারে মাসিক ৩০কেজি চালের একটা কার্ড করে দিয়েছেন আর শংকর কে একটা প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দিছেন, এছাড়া তিনি সবসময় শান্তির পরিবারের পাশে থাকেন।

কিন্তু এতেও তাঁর পরিবারের চলতে কষ্ট হয়। মাইকেল দাদার মতো যদি কোন হৃদয়বান ব্যক্তিরা এই পরিবারের পাশে এগিয়ে আসতেন হয়তো শান্তি একটু শান্তিতে থাকতে পারতেন।

 

একুশে সংবাদ/সুশান্ত/প

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর