ফরিদপুরের সালথায় মিতু আক্তার (২৩) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।মঙ্গলবার(২৩ ফেব্রুয়ারী) সকালে তার মরদেহ তার বাবার বাড়ি সোনাপুর ইউনিয়নের বড়বাংরাইল গ্রাম থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের ন্যায় মিতু সোমবার রাতের খাওয়া দাওয়া শেষ করে ঘুমাতে যায়। ঘরে ঐদিন রাতে মিতু ঘরে একাই ছিল। সকাল হলে তার পরিবারের লোকজন এসে অনেক ডাকাডাকি করার পরেও কোন সাড়া-শব্দ পাওয়া যায় না। পরে ঘরের জানালা ভেঙে দেখতে পায় মিতু ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে, এ অবস্থায় তাদের চিৎকারে আশে-পাশের লোকজন এসে দরজা ভেঙে মিতুকে মৃত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খরর দেয়।
মৃত্যুর আগে গৃহবধূর লিখে রাখা একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়, পরে চিরকুটটি সালথা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই চিরকুটে লেখা ছিল(হুবহ)‘আম্মু আব্বু তোমরা আমাকে ক্ষমা করো, আমার জীবনে কিছু নেই, আর আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়, আমি নিজের ইচ্ছায় মরছি, তোমরা আমাকে ক্ষমা করো -তোমাদের মিতু, আর মারুফকে সবকিছু দিয়ে দিও তোমরা ভালো থেকো’ -লিখে যান গৃহবধূ মিতু।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৫ বছর আগে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়ার কুয়েত প্রবাসী মোঃ মারুফ মিয়ার সঙ্গে পারিবারিক ভাবেই বকুল মোল্যার একমাত্র মেয়ে মিতুর বিয়ে হয়। বিয়ের দের বছর পর মারুফ পরিবারের তাগিদে কুয়েত চলে যান। মিতু বাবার বাড়িতে থেকেই নবকাম পল্লী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবার (এইস এস সি) পাশ করে। পরিবার সুত্রে জানা যায় ভালোই চলছিল তাদের সংসার জীবন। কিন্তু কেন কি কারনে এই অপমৃত্যুর পথ বেছে নিলেন মিতু সেটা রহস্যই থেকে গেল।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ওসি (তদন্ত) সুব্রত গোলদার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মিতু আত্মহত্যা করেছে। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।ৎ
একুশে সংবাদ/না/আ