সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করার দাবি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:১৫ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

মহান বিজয় দিবসের ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব) এর উদ্যোগে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) তোপখানা রোডে ইনসাবের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি মিজানুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে  দপ্তর সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান আজিজের পরিচালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক জনাব সালেহ আহেমদ, ইনসাব কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলী হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা মোসাঃ সাহেরা খাতুন, প্রচার সম্পাদক মোঃ শরিফ মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।  

সভার শুরুতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানের স্বৈরশাসক তাদের দোসরদের হাতে নিহত ৩০ লক্ষ শহীদদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের দেশের মুক্তি সংগ্রামে সেদিন দেশের শ্রমিক-কৃষকসহ সকল মানুষের যে আত্মত্যাগ তা পৃথিবীর ইতিহাসে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। সেই সময়গুলোতে পাকিস্তানের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে মূলত বৈষম্য, লুন্ঠন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধিকার অর্জনের স্বপ্নের মানুষ ঝাপিয়ে পড়েছে। দেশ স্বাধীন হলে সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি আসবে। সকল নাগরিক সমান অধিকার পাবে, ধনী আর গরীবের ব্যবধান থাকবে না- এই ক্ষুদ্র স্বপ্ন সকলকে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ্রগ্রহণে অনুপ্রাণিত করে। দুঃখজনক হলো বিজয়ের ৫২ বছর পার হলেও আমাদের সাধারণ মানুষ ভাল নেই। দেশে ধনী-গরীবের বৈষম্য আরো বেড়েছে। আমরা মনে করি সকলের কাজ, খাদ্য, বাসস্থান, শিক্ষা চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা গেলে বিজয়ের যে আত্মত্যাগ তা স্বার্থক হবে। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। অর্থনৈতিক সূচকে বাংলাদেশ আজকে অনেক উপরে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের এই উন্নয়ন ও অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হল এদেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষ। কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধিতে দেশ এগিয়ে গেলেও বাংলাদেশ এখনো শ্রমজীবী মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। শ্রমজীবী মানুষ এখনো নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। তারা ন্যায্য মজুরী, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য ন্যায়সঙ্গত অধিকার ও মর্যাদা থেকে বঞ্চিত। নেতৃবৃন্দ নির্মাণ সেক্টরের শ্রমিক কর্মচারীদের ন্যায্য মজুরী, কর্মের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান


একুশে সংবাদ/ন.প্র/জাহা

রাজধানী বিভাগের আরো খবর