সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জাবির অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় নিহত ও গর্ভপাতের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মদবাহী অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় ইজিবাইক চালকের মারা যাওয়া ও এক নারীর গর্ভপাতের ঘটনার বিচারসহ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।

 

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে চিকিৎসা কেন্দ্রের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

 

শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশে তিনদফা দাবি উল্লেখ করেন। তাদের দাবিগুলো ছিল, ভুক্তভোগী পরিবারের দায় ক্যাম্পাসের নিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এ ঘটনায় সম্পৃক্ত সকলের বিচার করতে হবে এবং মেডিকেলের সকল অব্যবস্থাপনা দূর করতে হবে।

 

বিক্ষোভ সমাবেশে সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৌমিক বাগচি বলেন, "বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করার কথা, কিন্তু প্রায়ই দেখছি এটি ব্যবহার হয় অনেকের পণ্য পরিবহনে, পারিবারিক কাজে এবং মাদক পরিবহনে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি লজ্জাজনক ঘটনা। হুট করে এই ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসনের অবহেলার কারণেই হয়েছে।"

 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক  আলিফ মাহমুদ বলেন, "ওই অ্যাম্বুলেন্সে দুই জন শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল হলের পুনর্মিলনীর জন্য ঢাকা থেকে মদ নিয়ে আসা। এর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ব্যাচের র‍্যাগ উৎসবের জন্য ঢাকা থেকে মদ নিয়ে আসার জন্য আবারও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি উৎসবে মদ পরিবহনের জন্য নিরাপদ বাহনে পরিণত হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। এসব ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক। অন্যথায় জাহাঙ্গীরনগর  বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নিকৃষ্ট কালিমা লেগে থাকবে।"

 

ছাত্র ফ্রন্ট জাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায় বলেন, "ক্যাম্পাসে অছাত্ররা অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করে মাদক আনতে পারে কিন্তু প্রকৃত ছাত্ররা অ্যাম্বুলেন্স পায় না। জানা যায়, সেদিন ড্রাইভার মাদক নিয়ে আসার আতংক নিয়ে চালিয়েছে, মদের বোতল ভেঙে যাওয়ায় তাকে আধা ঘন্টা পানিতে  চুবিয়ে রাখা হয়েছে। এ জঘন্য কাজ আর কত দেখব।"

 

উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারী রাতে সাভারের বিপিএটিসি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্স একটি ইজিবাইককে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক  চালক সেখানেই মারা যায়। ওই সময় ইজিবাইকে চার জন যাত্রী ছিল। তাদের মধ্যে একজন নারীর গর্ভপাত ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর