লেক পিচোলা, উদয়পুর
এক কৃত্রিম লেক যা উদয়পুরের সিটি প্যালেসের ওপরে তৈরি। লেক পিচোলা যতদূর দেখা যায় ততোদূর বিস্তৃত। এই সুন্দর লেকটি লম্বায় প্রায় ৪ কিলোমিটার এবং চওড়ায় প্রায় ৩ কিলোমিটার। সিটি প্যালেস থেকে লেকটিকে দেখা যায়, আর আপনি রামেশ্বর ঘাট থেকে দীর্ঘক্ষনের জন্য নৌকাবিহারও করতে পারেন। আপনি সূর্যাস্তের সময়ও নৌকাবিহার করতে পারেন, যা এক দারুন রোম্যান্টিক অভিজ্ঞতা আপনাকে দিবে। রাতের বেলা পিচোলা লেক সংলগ্ন আম্ব্রাই রেস্তোরাঁ থেকে প্রাসাদের রাজকীয় ভিউ দেখে সেখান থেকে আর ফিরে যেতে ইচ্ছাই করবে না।
সোমগো লেক, গ্যাংটক
নাথু লা পাস যাওয়ার পথে গ্যাংটক থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে এটি অবস্থিত। সোমগো বা স্থানীয় ভাষায় ছাঙ্গু লেকের উচ্চতা মানে আপনি উচ্চ শৃঙ্গগুলি দেখতে পাবেন যা অত্যুচ্চ এবং বরফ জমাটবাঁধা লেককে ঘিরে আছে। এই লেকের জল আশেপাশের বরফগলা জলের দ্বারাই পূর্ণ হয়। লেকের চারধারে রঙবেরঙের প্রার্থণা পতাকা এই জায়গাটিকে পূর্বীয় হিমালয়ের সবথেকে ভাল জায়গার একটি করে তুলেছে।
ডাল লেক, শ্রীনগর
কাশ্মীরের আদিম সৌন্দর্যকে এর সম্পূর্ণ গৌরব দিয়ে বুঝতে গেলে, আপনার ভ্রমণে ডাল লেক অবশ্যই থাকা দরকার। যদিও দর্শনার্থীদের ভিড়ে কাশ্মীর কি কলির সময় থেকেই পূর্ণ। ডাল লেক গ্রীষ্ম এবং শীতে আলাদা আলাদা ল্যান্ডস্কেপের মনোরম দৃশ্যের সাথে এক দমবন্ধ করা সৌন্দর্য প্রদান করে। ১৫ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই লেকে রাজার যুগ থেকে বহু হাউসবোটে ভর্তি। এছাড়াও শিকারা যা লেকের সব জায়গায় ঘুরে বেড়ায়, ভ্রমনার্থীদের নিয়ে পারাপার করে প্রশস্ত থেকে হাউসবোটে বা বোটে চাপিয়ে। শিকারা বিক্রেতা হিসাবেও ব্যবহার হয় যেখানে পাওয়া যায় কাশ্মীরি হস্তশিল্পের নিদর্শন এবং উপহার সামগ্রী, ফল, ফুল এবং সব্জি।
প্যাঙ্গং সো, লাদাখ
লেহ থেকে পাঁচ ঘণ্টার পাহাড়ী রাস্তা ধরে গেলে পাবেন প্যাঙ্গং সো লেক, এক নোনা জলের লেক, যা ভারতের এক চিত্রানুগ জায়গা। আমি নিশ্চিত যে আপনার মনে আছে কারিনা কাপুর লাল ঘাগরা পরে স্কুটারে চেপে প্যাঙ্গং সোয়ের ধার দিয়ে যাচ্ছে।ভারতের লাদাখ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ও চীনের রুতোগ প্রদেশের সীমান্তে ৪,৩৫০ মি (১৪,২৭০ ফু) উচ্চতায় প্যাঙ্গং হ্রদ অবস্থিত। এই হ্রদ ১৩৪ কিমি (৮৩ মা) লম্বা যার মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ তিব্বতে অবস্থিত। এই হ্রদের পূর্ব দিকটি তিব্বতের অন্তর্গত এবং পশ্চিম প্রান্তটি ভারতের অন্তর্গত।প্যাঙ্গং হ্রদ ভারত ও চীনের মধ্যেকার একটি বিতর্কিত অঞ্চল। এই হ্রদের ওপর দিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা গেছে।
পরাশর লেক, মাণ্ডী
পরাশর লেক, এক বরফ জমাট বাঁধা লেক, সন্ন্যাসী পরাশরকে নিবেদিত হিমাচল- স্টাইল মন্দিরের পাশেই এবং মাণ্ডী থেকে মাত্র ৪৯ কিলোমিটার দূরে। এটাতে খুব সহজেই ট্রেক করতে পারেন, এমনকি বাচ্চাদের সাথেও। গভীর, নীলাভ জলের এই লেক গ্রীষ্ম এবং শীত দুটো সময়েই ল্যান্ডস্কেপ থেকে দূরেই থাকে। গ্রীষ্মে পরাশর ল্যান্ডস্কেপ নীল এবং সবুজে অগণ্য হয়ে ওঠে, যেখানে শীতে অত্যুচ্চ সাদা আর নীল হয়ে ওঠে।
একুশে সংবাদ/ এ /এস
আপনার মতামত লিখুন :