AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যেখানে গেলে আর কেউ ফিরে আসে না!


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:২৫ পিএম, ২৭ জানুয়ারি, ২০২১
যেখানে গেলে আর কেউ ফিরে আসে না!

পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে যাওয়া খুবই ঝুকিপূর্ণ। লোকালয়ের বাইরে এবং লোকালয়ের ভেতরে, যেমন- ফ্লোরিডার পাম বীচ প্রদেশে অবস্থিত রিডেল হাউজ, ডগলাস প্রদেশের ক্যানসাসে অবস্থিত স্টাল সিমিট্রি, বালট্রা দ্বীপ, ভাঙ্গর বা ভানগড় ফোর্ট দূর্গ ইত্যাদি। আমরা এখানো শুনাবো ভারত রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় অবস্থিত ভাঙ্গর ফোর্ট দূর্গের গল্প। কথিত আছে সেখানে একবার গেলে নাকি আর ফিরে আসা যায় না।

আনুমানিক ১৫৭৩ সালে নির্মিত হয়েছিল এ দূর্গ। এটি কেন অভিশপ্ত এ বিষয়ে কয়েক ধরনের গল্প শোনা যায়। কিছু লোক মনে করেন এ দূর্গটি রাজা মধু সিং নির্মাণ করেন। দূর্গটি নির্মাণ করতে গিয়ে রাজা দেখেন সেখানে ধ্যানে মগ্ন রয়েছেন মুনি বালু নাথ। তার নিকট অনুমতি চাইলে তিনি এক শর্তে রাজি হন। শর্তটি হলো যে ভবন নির্মাণ করা যাবে তবে ভবনের ছায়া যেন বালু মুনির গায়ে না পড়ে। কিন্তু নির্মাণের পর ঘটলো শর্তভঙ্গ। ক্ষেপে যান মুনি। আর তার অর্জিত ঐশ্বরিক ক্ষমতাবলে দূর্গটি ধ্বংস করে দেন।

আবার অনেককে বলতে শোনা যায় যে, এ দূর্গে রত্নাবতী নামে এক রাজকুমারী বাস করতেন। তাকে অনেকেই ভালোবাসতেন। অনেকের মধ্যে একজন সিঙ্ঘিয়া নামের এক তান্ত্রিক। রাজকুমারীকে কাছে পাওয়ার জন্য সে ছিল ব্যকুল। কিন্তু সে বুঝতে পারে যে রত্নাবতী কিছুতেই তাকে ভালোবাসবে না। তাই তাকে পাওয়ার জন্য মায়াশক্তি প্রয়োগ করে। মন্ত্রসিদ্ধ তেল নিয়ে যান রত্নাবতীর কাছে। কিন্তু রাজকুমারী রত্নাবতী দেখে ফেলেন এবং ঐ তেল মাটিতে ফেলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয় কঠিন পাথরে। পাথর হবার পূর্বে অভিশাপ দিয়ে যান সিঙ্ঘিয়া যে এখানে আর কোন সন্তান জন্ম নেবে না। বাস্তবে হয়েছেও তাই। বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে এ দূর্গ। রাজকুমারীও মারা যায়। এখনও অনেকে বিশ্বাস করেন যে একদিন রাজকুমারী এখানে ফিরে আসবেন।

ভাঙ্গর ফোর্ট ঝর্ণা

ভারতের এবং পৃথিবীর অন্যান্য ভয়ঙ্কর ভুতুড়ে আর অভিশপ্ত এই স্থানের গল্প যাই হোক না কেন মানুষ এই দূর্গে প্রবেশ করতে প্রচণ্ড ভয় পায়। জানা যায় যারা কৌতূহলবশত এসেছে তারা কেউ আর ফিরে আসেনি। আবার কখনও  দূর্গ থেকে রাতের বেলা চুড়ির কঙ্কন ধ্বনি, কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে। আবার অনেকেই এটার পাশ দিয়ে হাটার সময় কোন এক আগন্তুককে দেখতে পান। দেখতে পান হঠাৎই অদৃশ্য হবার ঘটনা।

ভানগড় ফোর্ট ভূতের ছায়া


শত বছর ধরে চলে আসা এই কল্প কাহিনীগুলো একে একে ডালপালা ছড়িয়ে অনেক বড় হয়েছে এবং হচ্ছে। তবে সত্যি হচ্ছে এই যে রাজস্থানের এই দূর্গটি খুবই ভয়ানক। আপনি খুব সাহসি হলে এক রাত কাটিয়ে আসার প্রস্তুতি নিতে পারেন। অন্যকোন দিন শুনাবো কিভাবে যাওয়া যাবে এই অভিশপ্ত যায়গায়। কত খরচ এবং করণীয় কী কী।


একুশে সংবাদ/আ/আ

Link copied!