বর্তমানে আবুধাবি টি-টেন লিগে খেলতে থাকা সাকিব আল হাসান ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফিরতে চেয়েছিলেন। যদিও তাকে ছাড়াই তিন ওয়ানডের সিরিজের দল ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ওয়ানডে সিরিজের দলের সদস্যদের নাম বোর্ডে জমা দিয়েছেন। দলে না রাখতে বোর্ডের নির্দেশনা থাকায় তাতে নেই সাকিবের নাম। এ ঘটনা নিয়ে রটেছে একটি গুঞ্জন।সাকিব নাকি বিসিবির কাছে দেশে খেলার স্বাধীনতা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট উন্মুক্ত করে দেওয়া, দেশে ফেরা ও বিদেশে যাওয়ার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন। তার শর্তগুলো নিয়ে নাকি বিসিবির কাছে সমাধান নেই। যার ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ বাঁহাতি অলরাউন্ডারের খেলা হচ্ছে না।
যদিও দেশের একটি জাতীয় দৈনিককে বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, সাকিব এ রকম কোনো শর্ত দিয়েছেন বলে তাদের জানা নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বোর্ড কর্মকর্তা টাইগারদের সাবেক অধিনায়কের দলে না থাকার কারণ হিসেবে বরং অন্য কারণ জানিয়েছেন।
জাতীয় দৈনিকটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুঠোফোনে গণমাধ্যমটিকে এক বোর্ড কর্মকর্তা বলেন, আমাদের মনে হয়েছে, নানা কারণে এ মুহূর্তে সাকিবের যে মানসিক স্থিতি, সেটি ঠিক খেলার মতো অবস্থায় নেই। ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টেন লিগ খেলা আর জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা এক জিনিস নয়। সে কারণেই আমরা মনে করেছি, সাকিবের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে না খেলাটাই ভালো। নির্বাচক কমিটিকে বোর্ডের এই মনোভাবের কথা জানানো হয়েছে।
পেশাদার ক্রিকেটে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার মাঝপথে জাতীয় দলে খেলতে আসার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। ফরম্যাট ভিন্ন হলেও এমন নজির অনেক দেখা যায়। সাকিবের মানসিক স্থিতি নিয়ে যে ব্যাখ্যা বিসিবি দিচ্ছে, সেটাকে অজুহাতই বলা যায়।
সাকিব বর্তমানে একটি হত্যা মামলায় আসামি। এছাড়া শেয়ারবাজার কারসাজির অভিযোগে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও হয়েছে তার বিরুদ্ধে। বিদেশে টাকা পাচার রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক সাকিব ও তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন, সাকিবের বিষয়টি স্পর্শকাতর। সেজন্য তাকে দলে না রাখার সিদ্ধান্ত তাই নীতিনির্ধারণী বিষয়ের পর্যায়ে পড়ে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :