AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

স্পন্সর ইস্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চাপে আইসিসি!


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০৭:২৩ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২৪
স্পন্সর ইস্যুতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে চাপে আইসিসি!

আর দু-এক দিনের মধ্যেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সূচি ঘোষণা হয়ে যেতে চলেছে। তবে আইসিসি চুক্তির  যে ডেডলাইন, অর্থার প্রতিযোগিতা শুরুর ৯০ দিন আগে সূচি প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে। সমস্ত স্টেকহোল্ডারকে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে প্রতিযোগিতার সূচি দিতে হত, যেটা দিতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছে।

আইসিসির স্টেকহোল্ডার বা যাদের চুক্তি রয়েছে আইসিসির সঙ্গে, তাদের মধ্যে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছে ডিজনি স্টার বা জিও স্টার। কারণ সঠিক সূচি তাঁরা হাতে পেলে অনেক আগে থেকেই তাঁর প্রচার শুরু করতে পারত। শুধু ডিজনি স্টারই নয়, আয়োজক দেশ এবং স্পন্সরশিপের ক্ষেত্রেও ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখ দেখতে হতে পারে সংস্থাগুলোকে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও সম্প্রতি বিসিসিআইয়ের সঙ্গে যে সমস্যার তৈরি হয়েছে, তা নিয়ে কেন আইসিসি এতদিনেেও বিষয়টি মেটাতে পারল না সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আইসিসির সিইও জিওফ অ্যালার্ডাইসকে ইতিমধ্যেই পিসিবির একজন শীর্ষকর্তা প্রশ্ন করেছেন, যে এতদিন কেন সময় লাগছে ভারতীয় দলের পাকিস্তানে আসার বিষয়টি মেটাতে।

ইতিমধ্যেই জানা গেছে ব্রডকাস্টাররা ভারত এবং পাকিস্তানকে আলাদা গ্রুপে দেওয়া নিয়ে তাঁদের উষ্মা প্রকাশ করেছেন, সেক্ষেত্রে দুই দলই দলই ভেনুতে ম্যাচ খেলতে পারত। অর্থাৎ পাকিস্তান নিজেদের দেশে ম্যাচ খেলতে পারবে, কিন্তু ভারত পাকিস্তান এক গ্রুপে হলে পাকিস্তানকে নিজেদের দেশের বাইরে গিয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। ফলে হাইব্রিড পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতা আয়োজন নিয়ে ২৯ তারিখই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে আইসিসি।

যা পরিস্থিতি তাতে একাধিকবারই ৫০ ওভারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ২০ ওভারে কনভার্ট করে দেওয়ার আওয়াজ উঠেছে। যদিও আইসিসি বারবারই চেষ্টা করেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে ৫০ ওভারের রাখতে। কারণ ৫০ ওভার বা ওডিআই ক্রিকেটকে বাঁচাতে হবে। আর সেক্ষেত্রে এই ৮ দলের প্রতিযোগিতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভারত পাকিস্তানের ম্যাচ হওয়া।

আইসিসির কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ পাকিস্তানকে বুঝিয়ে সুজিয়ে রাজি করানো হাইব্রিড মডেলের জন্য, কারণ ভারত যেহেতু সেদেশে নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে খেলেত যেতে চাইছে না। কিন্তু পাকিস্তান যদি সেদেশ থেকে প্রতিযোগিতা সরাতে রাজি না হয় তাহলে একপ্রকার জোর করেই প্রতিযোগিতা সরানো হতে পারে, কিন্তু সেক্ষেত্রে পাকিস্তানও পাল্টা বয়কটের পথে হাঁটতে পারে।

তিনটি পরিস্থিতি আসতে পারে, প্রথমত আইসিসি হাইব্রিড মডেলে ম্যাচ আয়োজন করতে চাইল, পাকিস্তান তা গ্রহণ করল। দ্বিতীয়ত পাকিস্তান আইসিসির আবেদন বয়কট করল এবং প্রতিযোগিতা সাউথ আফ্রিকা বা আরব আমিরশাহিতে নিয়ে যাওয়া হল। তৃতীয়ত প্রতিযোগিতা পিছিয়ে দেওয়া(এই সম্ভাবনা সব থেকে কম, কারণ তাতে কারোর লাভ নেই)

তবে যদি পাকিস্তানকেও শেষ মূহূর্তে চটিয়ে আইসিসি কিছু করতে যায় তাহলে তাঁরাও বলতে পারে ২০৩১ সাইকেল পর্যন্ত ভারতে যতগুলো আইসিসি ইভেন্ট হওয়ার কথা কোনওটিতেই দল পাঠাবে না পাকিস্তান। সেক্ষেত্রে তাঁদের জোর করার কোনও সুযোগ থাকবে না আইসিসির কাছে। এক্ষেত্রে জয় শাহ যদি জোর করে আইসিসির চেয়ারম্যান পদে নিজের ক্ষমতা দেখাতেও যান,সেক্ষেত্রেও বিষয়টি আরও জটিল হতে পারে।

একুশে সংবাদ/ এস কে

Link copied!