সদ্য ভারতীয় দলকে ওডিআই ফরম্যাটের সিরিজে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। ঘরের মাঠে টি২০ সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হওয়ার বদলা রোহিত শর্মার দলের বিরুদ্ধে নিয়েছে লঙ্কানরা। কেউ বলতে পারবে না দ্বিতীয় সারির ভারতীয় দল নেমেছিল, কারণ রোহিত শর্মা, শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্ত, শ্রেয়স আইয়ার, লোকেশ রাহুল,কুলদীপ, সিরাজ প্রায় সকলেই খেলেছেন।
গৌতম গম্ভীর যুগের সূচনাটা ওডিআইতে মোটেই ভালো হয়নি ভারতের, তুলনায় চমক দেখিয়েছে সনথ জয়সূর্যের লঙ্কা। কিন্তু এরই মধ্যে দুঃসংবাদ এল শ্রীলঙ্কা শিবিরে। তাঁদের এক ক্রিকেটার আইসিসির কড়া নজরে। যার জেরে মুখ পুড়ল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের। আইসিসির দুর্নীতি দমন শাখার নীতি বিরুদ্ধ কাজ করায় কোপের মুখে লঙ্কান এই ক্রিকেটার।
২০২১ সালের এক ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে আইসিসি। ২০২১ লঙ্কা প্রিমিয়র লিগ চলাকালীন প্রবীণ জয়াবিক্রমের কাছে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব এসেছিল। নিয়মমাফিক তৎক্ষণাৎ বিষয়টি জানাতে হয় নিজের দল, বোর্ড এবং আইসিসিকে। কারণ দুর্নীতিদমনের বিষয় আইসিসি যথেষ্টই শক্ত, এই জন্য এর আগে বহু তারকাকেই নির্বাসিত হতে হয়েছে। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আইসিসিকে না জানানোয় তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল।
জানা গেছে শ্রীলঙ্কার এই স্পিনার, বুকিদের কাছ থেকে আসা গড়াপেটার প্রস্তাবের মেসেজ ডিলিট করে দিয়েছিলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই তার কাছে জবাব চেয়েছে আইসিসি। ১৪ দিনের মধ্যে এই নিয়ে তাঁর বক্তব্য জানতে চেয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে আর্টিকেল ২.৪.৪ অনুযায়ী অভিযোগ রয়েছে আইসিসিকে কিছু না জানানোয় গড়াপেটার প্রস্তাবের বিষয়। পাশাপাশি তাঁকে বুকিরা বলেছিলেন আরেকজন ক্রিকেটারকেও ফিক্সিংয়ে সামিল করার জন্য, সেটাও আইসিসিকে আগে জানাননি তিনি। এছাড়া ২.৪.৭ ধারা অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে প্রমাণ লোপাটের এবং তদন্ত বিঘ্ন ঘটানোর, কারণ তিনি মেসেজ ডিলিট করে দিয়েছিলেন।
২৫ বছর বয়সী এই স্পিনার জাতীয় দলের হয়ে ১৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছেন। শ্রীলঙ্কার এবং আইসিসি সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আইসিসি জয়াবিক্রমের বিরুদ্ধে এই নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষবার টি২০ সিরিজে মাঠে নেমেছিলেন লঙ্কানদের জার্সিতে।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :