প্যারিস অলিম্পিকে মেয়েদের রেসলিংয়ের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছেন ভারতের নিশা দাহিয়া। ৬৮ কেজি বিভাগে লড়াইয়ের এক পর্যায়ে তিনি আঙুলে মারাত্মক চোট পেয়ে কাঁদতে থাকেন।ম্যাচ শেষে নিশার কোচ বীরেন্দ্র দাহিয়া অভিযোগ করেন, ইচ্ছাকৃতভাবে নিশার আঙুল ভেঙে দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার কুস্তিগীর সাল গাম পাক।
২৫ বছর বয়সী নিশা এদিন ৮-১০ স্কোরে হেরে যান। তার চোট এতটাই মারাত্মক ছিল যে, গেমস ভিলেজে নিয়ে যেতে হয়। সেখানে তার হাতের স্ক্যান করানো হয়।
পিটিআইকে বীরেন্দ্র বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে মারা হয়েছে নিশাকে। কোরিয়ার দিক থেকে তাদের খেলোয়াড়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। আমরা সকলে দেখেছি। ইচ্ছাকৃতভাবে আঙুল মচকে দেওয়া হয়। নিশার পদক ওরা কেড়ে নিয়েছে!’
ম্যাচের একপর্যায়ে ৬-১ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন নিশা। এরপরই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন সল। কিন্তু তখন নিশা আরো ২ পয়েন্ট তুলে নেন। ম্যাচের তখন ৩৩ সেকেন্ড বাকি। তখনই আঙুলে চোট পান নিশা। শুশ্রুষার পর সেই চোট নিয়েই তিনি লড়াইয়ে ফেরেন। কিন্তু ভাঙা আঙুল নিয়ে লড়াই করতে পারছিলেন না। এই সুযোগেই ম্যাচ জিতে নেন কোরিয়ার কুস্তিগীর।
বীরেন্দ্র আরো বলেন, ‘নিশা যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে পদক পাওয়া নিশ্চিত ছিল। সে দুর্দান্তভাবে আক্রমণ করেছে। তার রক্ষণও ঠিক ছিল। এশিয়ান কোয়ালিফায়ারে নিশা সাল গাম পাককে হারিয়েছিল। এখানে হারার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।’
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :