দানিল মেদভেদেভকে ফাইনালে সহজেই ৬-৩, ৬-২ গেমের সরাসরি সেটে পরাজিত করে ইন্ডিয়ান ওয়েলস এটিপি মাস্টার্স ১০০০’র শিরোপা জয় করেছেন স্পেনের কার্লোস আলকারাজ। মাত্র ১ ঘন্টা ১১ মিনিটের লড়াইয়ে তিনি মেদভেদেভকে পরাস্ত করেন। এই শিরোপার মাধ্যমে আবারো বিশ্ব র্যাংকিংয়ের নাম্বার ওয়ান স্থানটি দখল করেছেন স্প্যানিশ এই তরুণ।
মেদভেদেভের টানা ১৯ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড আলকারাজের সামনে এসে শেষ হলো। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন বিজয়ী নোভাক জকোভিচকে হটিয়ে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করলেন আলকারাজ।
কাল ফাইনাল শেষে আলকারাজ বলেছেন, ‘এখানে শিরোপা জিততে পারা ও একইসাথে নাম্বার ওয়ান পজিশন ফিরে পাওয়ার অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ। একটি কথাই শুধু বলতে চাই, আমার জন্য এটি একটি দারুন টুর্নামেন্ট ছিল।’
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে অস্বীকৃতি জানানোর কারনে যুক্তরাষ্ট্র সফরে যেতে পারেননি সার্বিয়ান তারকা জকোভিচ। যে কারনে ইন্ডিয়ান ওয়েলসের পাশাপাশি এ সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া মিয়ামি ওপেনেও তিনি খেলতে পারছেন না। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আলকারাজ মিয়ামিতে কোর্টে নামবেন।
গত বছর ফ্লাশিং মিডোতে শিরোপা জয়ের পর বিশে^র সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে এটিপি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন ১৯ বছর বয়সী আলকারাজ। এনিয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় মাস্টার্স ১০০০ শিরোপা জয় করলেন এই স্প্যানিশ তরুণ। টিনএজার হিসেবে অন্তত তিনটি মাস্টার্স শিরোপা জয়ের কৃতিত্বও রাফায়েল নাদালের সাথে স্পর্শ করলেন। বয়স ২০ বছর হবার আগ পর্যন্ত নাদাল জিতেছিলেন ছয়টি মাস্টার্স শিরোপা।
কাল ফাইনালে স্টেডিয়াম কোর্টে আলকারাজ ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। মেদভেদেভের শক্তিশালী রক্ষনাত্মক শটগুলোকে তিনি বারবার ব্রেক করেছেন। রটারডাম, দোহা ও দুবাইয়ে শিরোপা জিতে খেলতে আসা ইন-ফর্ম মেদভেদেভ আলকারাজের উইনিং শটগুলোর কোন উত্তর দিতে পারেননি। আলকাজার বলেন, ‘অবশ্যই দানিল আজ তার সেরাটা দিতে পারেনি। কিন্তু আমি নিজের পারফরমেন্সে দারুন খুশী। তবে গত বছরের তুলনায় আমার খেলার ততটা উন্নতি হয়নি। যেটা উন্নতি ঘটেছে তা হলো খুব বেশী চাপ না নেবার মানসিকতা, একেবারে স্বস্তি নিয়ে কোর্টে নামা। এটা আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ কারনেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে আমি ভাল খেলতে পারছি। আমি ম্যাচগুলো উপভোগ করার চেষ্টা করছি।’
একুশে সংবাদ/সম
আপনার মতামত লিখুন :