ফারিহার হ্যাটট্রিকে বড় জয় বাংলাদেশের

পাকিস্তানের বিপক্ষে হার মনোবল হারায়নি বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার মালেশিয়ার বিপক্ষে দারুণ ক্রিকেট খেলল বাংলাদেশ দল। নিগার সুলতানা-মুর্শিদা খাতুনদের হাফ সেঞ্চুরি পর বোলিংয়ে ফারিহা তৃষ্ণা হ্যাটট্রিক করলেন অভিষেকেই। বড় জয়ে বাকিদের জন্য বার্তাই দিয়ে রাখলো বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নারী এশিয়া কাপের ম্যাচে মালেশিয়াকে ৮৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের সংগ্রহ পায় টাইগ্রেসরা। জবাব দিতে নেমে ৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় মালেশিয়া।

তবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। শাশা আজমির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে শুণ্য রানে বিদায় নেন শামীমা সুলতানা। এরপর ৩৪ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দেন মুর্শিদা ও ফারজানা হক। তবে ফারজানা হক ২০ বলে ১০ রান করে ক্যাচ আউট হন। এরপর আরও একটি বড় জুটি পায় বাংলাদেশ। ৮৭ রান তুলে ইনিংসের মূল ভিত্তি গড়ে দেন জ্যোতি ও মুর্শিদা।

জ্যোতি ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৩৪ বলে ৫৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। এরপরের বলেই রান আউট হয়ে যান আরেক হাফ সেঞ্চুরিয়ান মুর্শিদা। ৫৪ বলে ৫৬ রান করেন তিনি। মালেশিয়ার পক্ষে ১ উইকেট করে নেন শাশা আজমি, মাহিরাহ ইজ্জতি ঈসমাইল ও উইনিফ্রেড দুরাইসাঙ্গাম

জবাবে মালেশিয়া ষষ্ঠ ওভার পর্যন্ত খেলছিল ঠিকঠাকই। কিন্তু এরপরই জ্বলে উঠেন বাধান ফারিহা তৃষ্ণা। নিজের তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই পেয়ে যান প্রথম উইকেট। উইনিফ্রেড দুরাইসাঙ্গামকে বোল্ড করেন। দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউ আউট হন ম্যাশ এলাইসা।  

এরপর মাহিরাহ ইজ্জতি ঈসমাইলকে বোল্ড করে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ফারিহা। সতীর্থরা জড়িয়ে ধরেন তাকে। এক লাফে ফারিহার কোলে উঠেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। নিজের চার ওভারে ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ফারিহা।  

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়েন ফারিহা। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন ফাহিমা খাতুন। বিশ্ব ক্রিকেটে এর আগে অভিষেকে হ্যাটট্রিক ছিল নেপালের অঞ্জলী চাঁদের।

এই হ্যাটট্রিকের পর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি মালেশিয়া। কোনো ব্যাটারই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ২২ বলে ৯ রান করেন ইলশা হান্টার, সমান রান করতে ১২ বল খেলেন নূর আরিয়ান্না। বাংলাদেশের পক্ষে ২ উইকেট করে নেন ফাহিমা, সানজিদা আক্তার মেঘলা ও রুমানা আহমেদ।

একুশে সংবাদ/এসএস