AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফুটবল মাঠে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৭৪


Ekushey Sangbad
স্পোর্টস ডেস্ক
০১:৫৮ পিএম, ২ অক্টোবর, ২০২২
ফুটবল মাঠে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৭৪

ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে ভয়াবহ  দাঙ্গায় পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৪ জনে দাড়িয়েছে। এ ঘটনায় আরো ১৮০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশাঙ্কাজনক এ জন্য নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে। খেলা শেষে সমর্থকেদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর পদদলিত হয়ে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। 

 

দেশেটির পুলিশ সূত্রে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

 

শনিবার একটি ফুটবল ম্যাচ শেষে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দাঙ্গাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করার পর ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় এবং পদদলিত হয়ে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

 

ফুটবল খেলায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা কিভাবে এবং কেন ঘটলো তা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন ইন্দোনেশিয়ান প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো। সেই সঙ্গে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব লীগ ম্যাচ স্থগিত করেছেন।

 

পূর্ব ইন্দোনেশিয়ার কানজুরুহা স্টেডিয়ামে লিগ ম্যাচ ঘিরে এ ভয়াবহ ঘটনা ঘটে। শনিবার মালাং শহরের কাঞ্জুরুহান স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ মুখোমুখি হয়েছিলো জাভার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব পার্সেবায়া সুরাবায়া ও আরেমা। মাঠ ছিলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ।

 

জাভার পুলিশ ও ফুটবল কর্তাদের মতে, ৩৮ হাজার ধারণক্ষমতার চাইতে স্টেডিয়ামে কম করে হলেও চার হাজার বেশি দর্শকদের সমাগম হয়েছিলো। খেলা শেষ হবার পরই দুই দলের সমর্থক গ্যালারির নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে মাঠে নেমে আসলে শুরু হয়ে যায় দাঙ্গা।

 

দু’দলের প্রায় তিন হাজার সমর্থক মাঠে মারামারিতে জড়িয়ে পরার সঙ্গে সঙ্গে সহিংস হয়ে উঠে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে পুলিশ একের পর এক টিয়ারশেল ছুঁড়তে থাকে। এতই আতঙ্ক ছড়ায় গ্যালারিতে। দর্শকরা স্টেডিয়াম ছাড়ার জন্য বের হবার করিডোরের দিকে ছুটতে থাকেন।

 

ঘটনাচক্রে একটি মাত্রই গেট ছিলো যেখান থেকে দর্শকরা স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরোতে পারতেন। আতঙ্কে দিশাহারা দর্শকরা সেই গেট দিয়ে পালাতে গিয়েই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে যায়। হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে একে অপরের উপর পড়ে যান অনেকেই। তাতে পদপিষ্ট হয়েও মারা যান।

 

পুলিশ কি দায়িত্বজ্ঞানহীন ভূমিকা পালন করেছে? কার নির্দেশে টিয়ার গ্যাস ছোড়া হয়েছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যেখানে স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভর্তি, সেখানে এই ঝুঁকি কেন নেওয়া হল, সেই প্রশ্ন করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ান্তা ফিফাও।

 

ইন্দোনেশিয়ার ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রী জয়নুদিন আমালি সম্প্রচার প্রতিষ্ঠান কোম্পাসকে বলেছেন, ‘আমরা এই ঘটনার জন্য দুঃখিত... এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা যা আমাদের ফুটবলকে এমন এক সময়ে ‘আহত’ করেছে যখন সমর্থকরা স্টেডিয়ামে ফুটবল ম্যাচ দেখতে পারে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাচের আয়োজন এবং সমর্থকদের উপস্থিতি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মূল্যায়ন করব। আমরা কি সমর্থকদের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার দিকে ফিরে যাব? সেটাই আমরা আলোচনা করব এখন।’

 

ইন্দোনেশিয়ান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএসআই) বলেছে, এই ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া এই ঘটনাটি ‘ইন্দোনেশিয়ার ফুটবলের মুখকে কলঙ্কিত করেছে’ বলেও উল্লেখ করেছে তারা।

 

জাভার এই ঘটনা ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ ট্রাজেডি হয়ে থাকবে। তালিকা বেশ লম্বা হলেও হতাহতের বিচারে ইন্দোনেশিয়ার ঘটনা শীর্ষেই থাকতে। ১৯৬৪ সালে লিমাতে বিশ্বকাপের বাছাইয়ে পেরু-আর্জেন্টিনার ম্যাচে দাঙ্গায় ৩২৯ নিহত ও এক হাজার মানুষ আহত হয়েছিলো।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!