সিরিজের প্রথম ম্যাচে বোলিং ব্যর্থতায় হারের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠেছে বাংলাদেশের বোলাররা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৪।
এবাদতের পর জোড়া আঘাত হেনেছে তাইজুল ইসলাম। ইনোসেন্ট কাইয়াকে ১০ রানে ফিরিয়ে দেয়ার পর টনি মুনিয়োঙ্গাকে ১৩ রানে বিদায় করেন এই স্পিনার।
জিম্বাবুয়েকে ২৫৭ রানের লক্ষ্যে দিয়ে বোলিংয়ে দারুণ শুরু বাংলাদেশের। লজ্জার হার এড়াতে ইনিংসের প্রথম দুই ওভারে জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় ওয়েসলি মাধেভেরকে (১) ও চতুর্থ বলে টানা দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা সিকান্দার রাজাকে শুন্য রানে বোল্ডে করেন এবাদত। ইনিংসের নবম ওভারে ইনোসেন্ট কাইয়াকে ১০ রানে ফিরিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম।
বুধবার জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তোলে তামিমরা। দলের পক্ষে আফিফ হোসেন সর্বচ্চ ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তার ৮১ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি দুটি ছক্কা রয়েছে।
ওপেনার এনামুল হক বিজয় ৭৬ করে বিদায় নেন। তার ৭১ বলের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা রয়েছে। ৬৯ বলে ৩৯ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বাকিদের মধ্যে তামিম ১৯,শান্ত ০,মুশফিক ০,মিরাজ ১৪ ও তাইজুল ৫ রান করেন।
সফরের আগে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচেই হেরেছে জিম্বাবুয়ে। টানা দুই ম্যাচ জিতে ৯ বছর পর জিম্বাবুয়ের সাথে সিরিজ হারে তামিমরা। অন্যদিকে শেষ ম্যাচে হারলে ২১ বছর পর জিম্বাবুয়ের সাথে হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০০১ সালের পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এমন লজ্জা ছিল।
একুশে সংবাদ/এসএস
আপনার মতামত লিখুন :