AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হিমাগারে পচলো ‍কৃষকের ১০ কোটি টাকার আলু


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি,রাজশাহী
১১:৩৯ এএম, ২১ এপ্রিল, ২০২২
হিমাগারে পচলো ‍কৃষকের ১০ কোটি টাকার আলু

রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি হিমাগারে প্রায় দেড় লাখ বস্তা আলু পচে গেছে। হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ হওয়ার কারণে আলুগুলো পচে গেছে।

পবার মদনহাটি এলাকায় অবস্থিত ‘আমান কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেড’ নামের ওই হিমাগারে রাখা আলুর বিষয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন কৃষকেরা। কয়েকশো কৃষক ও ব্যবসায়ী হিমাগারটিতে গত মাসেই আলু রাখেন।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, এখানে ১ লাখ ৬৬ হাজার বস্তা আলু আছে। প্রতিটি বস্তায় আলুর পরিমাণ ৫০ কেজি। বর্তমানে ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম ৬০০ টাকা। সব আলু পচে গেলে ক্ষতির পরিমাণ ৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা দাঁড়ায়।

চাষিদের দাবি, সব আলুই পচে গেছে। বস্তায় একটা আলু পচে যাওয়া মানেই সব আলু নষ্ট হওয়া। এগুলো আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। এই হিমাগারে এমন পরিস্থিতিই তৈরি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকালে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গুদামঘর থেকে আলুর বস্তা বের করে স্টোরেজের ভেতরেই বাতাস দেওয়া হচ্ছিল। তখনই কৃষকেরা আলু পচে যাওয়ার কথা জানতে পারেন। এরপর ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষকেরা হিমাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে হিমাগার কর্তৃপক্ষ ১০ দিনের মধ্যে তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপর কৃষকেরা শান্ত হন।

বিকেলে হিমাগারে গিয়ে দেখা যায়, যে বস্তা খোলা হচ্ছে সেখান থেকেই বের হচ্ছে পচা আলু। হিমাগারের সামনে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, হিমাগারের গ্যাস মেশিন খারাপ থাকার পরও আলু লোড করা হয়েছে। প্রচÐ গরমে দুর্বল মেশিন ঠিকমতো গুদাম ঠান্ডা রাখতে পারেনি। ফলে কৃষকের আলু পচে গেছে। এগুলো আর বাজারে বিক্রির উপযোগী নেই।

আলু ব্যবসায়ী কামরুল হাসান বলেন, ‘আমি সাত হাজার বস্তা আলু রেখেছিলাম। এখন জানতে পারছি আমার সব আলু পচে গেছে। ক্ষতিপূরণ না দিলে আমি পথে বসে যাব।’

মার্চ থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত হিমাগারে আলু রাখেন কৃষকেরা। এ জন্য বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। আলুর বস্তা বের করার সময় টাকা দিতে হয়।

রানা সরদার নামের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, ‘গত বছর আমি এই কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখেছিলাম। বিক্রি করার পর ক্রেতারা অভিযোগ করেন যে আলুর মান ভালো না, নষ্ট হয়ে গেছে। তাই এবার সব আলু অন্য হিমাগারে রেখেছি। শুধু একটা ট্রলি ভুল করে আমানে ঢুকে পড়েছিল বলে সে ট্রলির ৫৭ বস্তা আলু এখানে রাখা হয়েছিল। এগুলো সব পচে গেছে।’

হিমাগারের ব্যবস্থাপক ফারুক হোসেন বলেন, ‘আলু নানা কারণেই পচতে পারে। আলুর মান খারাপ হলেও পচে যায়। কেন পচেছে তা জানি না। কী পরিমাণ পচে গেছে সে হিসাবও করা হয়নি। চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মালিকের এটা এক দিনের ব্যবসা না। কীভাবে কী করা যায় তা দেখছি।’

 

একুশে সংবাদ /এসএম

Link copied!