AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গুনাহ থেকে বাঁচব কিভাবে


Ekushey Sangbad
ধর্ম ডেস্ক
১২:৪৭ পিএম, ১৮ নভেম্বর, ২০২২
গুনাহ থেকে বাঁচব কিভাবে

মহান আল্লাহ আমাদের অসংখ্য-অগণিত নিয়ামত দান করেছেন। আমরা সারাক্ষণ তাঁর নিয়ামতের মাঝে ডুবে আছি। এসব নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় করা জরুরি। কৃতজ্ঞতা আদায়ের সর্বোত্তম পন্থা হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে এই নিয়ামত ব্যবহার করা।

 

আর সবচেয়ে বড় অকৃতজ্ঞতা হলো, এসব নিয়ামত উপভোগ করে আল্লাহর অবাধ্যা হওয়া। তার দেওয়া সব কিছু ব্যবহার করে গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়া।

মহান আল্লাহ খুলে খুলে সব গুনাহের কাজের বিবরণ দিয়ে দিয়েছেন, যা মানুষকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়। মহানবী (সা.)ও এসব বিষয়ে উম্মতকে সতর্ক করে গেছেন। তিনি বলেছেন, তোমাদের প্রধান শত্রু দুটি। নফস ও শয়তান। শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচাই আমাদের পরীক্ষা। নফসের মাঝে গুনাহের চাহিদা তৈরি হবে, ভালো কাজের আগ্রহও সৃষ্টি হবে।

 

 এমন কোনো মানুষ নেই, যার মনে গুনাহের প্রতি আসক্তি তৈরি হয় না। মানুষ ফেরেশতার মতো নয় যে অন্তরে গুনাহর উদ্রেক হবে না। ফেরেশতাদের সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুই ইবাদতের জন্য। তাদের অন্তরে এসব আসে না। মানুষের মনে গুনাহের চাহিদা সৃষ্টি হবে। এই চাহিদা দূর করতে হবে। এর মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য লাভ করতে পারবে। এবং তার প্রিয়পাত্র হতে পারবে।

 

দুটি স্পষ্ট পথ। এক শয়তানের পথ। এটি হলো গুনাহের কাজ করা, কুপ্রবৃত্তির দাসত্ব করা। দুই. রহমানের পথ, আল্লাহর পথ। এটা হলো তার হুকুম মানা। শয়তানের পথে না চলা। কুমন্ত্রণা থেকে বাঁচা। জোরপূর্বক এ থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এটাই মুহাজাদা। এর জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে। মন ঝুঁকে যাচ্ছে গুনাহের দিকে। কিন্তু আল্লাহর ভয়ে গুনাহ থেকে বিরত থাকছে। ধৈর্য ধরছে। এই ধৈর্য ধারণের বিনিময়ে আল্লাহ অনেক উত্তম প্রতিদান প্রদান করবেন।

 

চোখ দিয়েছেন আল্লাহর কুদরত দেখার জন্য। কিন্তু ঘর থেকে বের হলেই এখন গুনাহের শত আয়োজন। চোখ তুললেই গুনাহ আর গুনাহ। আজকাল তো ঘরেই বরং পকেটেই গুনাহের সব উপকরণ বিদ্যমান। মোবইল আছে, তার মাধ্যমে আপনার কুপ্রবৃত্তির চাহিদা মেটাতে পারেন। চোখের মজা লুটতে পারেন। কিন্তু খবরদার! আল্লাহ দেখছেন। দুনিয়া দেখুক আর না-ই দেখুক।

 

তুমি কোনো গুনাহের কাজ করছ, হঠাৎ তোমার বাবা চলে এলেন বা তোমার মা, কী করবে? সেই কাজ করতেই থাকবে? নাকি যেভাবেই হোক, যত কষ্টই হোক তুমি সেই কাজ থেকে বিরত থাকবে। তুমি চাইবে না তোমার বদনামি হোক মা বাবা, স্বামী বা স্ত্রী কিংবা তোমার শায়খ বা মুরব্বির কাছে! অথচ তাদের সামনে তোমার ইজ্জত ভূলুণ্ঠিত হলে কী এমন ক্ষতি হবে তোমার?

 

কিন্তু যিনি দেখার, ওপর থেকে দেখছেন। তিনি দেখে আমাকে জাহান্নামে ছুড়ে মারবেন। আল্লাহ রক্ষা করুন। এমন কুমন্ত্রণা মনে এলে এভাবেই বাঁচবে যেভাবে মা বাবা মুরব্বি থেকে বাঁচো।

 

এই যে কুপ্রবৃত্তি দমন করল, এটাই ইমানের চাহিদা। মনের ভেতর যে কুমন্ত্রণা তৈরি হয়, তা আল্লাহই সৃষ্টি করেন। বান্দা যেন দমন করে। বান্দা  কুপ্রবৃত্তিকে যত দমন করবে ততই সে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারবে। ঈমানি নূর তার অন্তরে সৃষ্টি হবে। আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হবে।

 

এমন কোনো অজিফা নেই, যা পড়লে গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে। বরং জোর করেই বাঁচতে হবে। হ্যাঁ, আল্লাহর কাছে গুনাহ থেকে বাঁচার দোয়া করতে হবে। যেখানে তুমি আছ, সেখানে গুনাহের আশঙ্কা দেখা দিলে আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করবে। দোয়া করবে, আল্লাহ আমার চোখ কান দ্বারা গুনাহের আশঙ্কা হচ্ছে, আপনি হেফাজত করুন। এটাই সর্বোত্তম অজিফা।

 

আর গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা এবং ত্যাগ শিকার করবে। নিজের ওপর জোর খাটিয়ে তা থেকে বাঁচবে। পাশাপাশি ইখলাস ও আল্লাহ অভিমুখী হয়ে থাকবে সব সময়। মহান আল্লাহ হেফাজত করবেন।

একুশে সংবাদ/ বা.প্র/ রখ

Link copied!