বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, কুনমিং এ যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস ২০২০ পালন করা হয়।
বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, কুনমিং- এর কনসাল জেনারেল জনাব এ এফ এম আমিনুল ইসলাম জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে এ দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন।দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং কুনমিং এ বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও ছাত্র - ছাত্রীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলনের সমাপনান্তে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রুহের মাগফিরাত ও মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল শহীদদের রুহের মাগফেরাত এবং দেশের সুখ - সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এ ছাড়া মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত ভিডিও বার্তা প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনা অনুষ্ঠানে কনসাল জেনারেল আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বের কথা তিনি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীতে উৎযাপিত এ মহান বিজয় দিবস এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। মহান মুক্তিসংগ্রামে আমাদের অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তযোদ্ধা সহ যারা দেশ মাতৃকার জন্য জীবন দিয়েছেন, সম্মানহানী এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁদের কথাও তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
তিনি তাঁর বক্তেব্যে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস - ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি এবং আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির বিষয়ে আমন্ত্রিত অতিথিদের অবহিত করেন। তিনি উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ বিজয় দিবসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনের এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জলকরণে অবদান রাখার জন্য সকল প্রবাসী বাংলাদেশি ও ছাত্র ছাত্রীদের প্রতি আহবান জানান।
স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি অনুসরণ করে,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীগণ মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরে নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, মুখাভিনয়,ও নাটিকা পরিবেশণ করে।
একুশে সংবাদ /এস/এস
আপনার মতামত লিখুন :