AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

করোনাভাইরাস: স্তম্ভিত এবং হতাশায় সারাবিশ্ব


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:৪৬ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২০
করোনাভাইরাস: স্তম্ভিত এবং হতাশায় সারাবিশ্ব

কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারির এক বছর পূর্তি। এই একটি বছর বিশ্ব থেকে কেড়ে নিলো ১,৪৪ মিলিয়ন মানুষের তাজা প্রাণ,প্রতিদিন মিছিল, হতাশা, আতংক, ভয় এবং উৎকন্ঠার মাধ্যমে। লক ডাউনে লক ডাউনে অর্থনৈতিক চরম খারাপ অবস্থা তারপরও বেঁচে থাকার আমরণ চেস্টা । প্রতিটি দেশের সরকার সহ সাধারনজনগন করোনাভাইরস মোকাবেলায় যার যার অবস্থান থেকে চেস্টা করে যাচ্ছেন।

২০১৯ সালের ১৭ই নভেম্বর চায়নার উহান শহর থেকে করোনাভাইরসের উৎপত্তি বা সৃস্টি বা শুরু হয়েছে।৫৫ বৎসরের এক ব্যাক্তির এই করোনায় প্রথম আক্রান্ত হয় এর পর ৪ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করলে হৈচৈ পরে যায় চায়না সহ সারা বিশ্বে।চায়নার উহান শহরে ৫০,৩৪০ জন করোনায় আক্রান্ত হলেও মৃত্যু বরণ করেছেন ৩৮৬৯ জন।

করোনাভাইরাস মহামারি মানুষের সৃস্টি না আল্লাহর গজব এনিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। তবে মানুষের সৃস্টি হোক আর আল্লার গজব হোক। করোনাভাইরস মহামারিতে আক্রান্ত হয়ে এই এক বছরে ১৭ই নভেম্বর ২০১৯ থেকে ২৭শে নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬১,৭ মিলিয়ন মানুষ এবং মারা গেছেন ১,৪৪ মিলিয়ন মানুষ।এর মধ্যে আমেরিকায় সবার শীর্ষে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৬৫ কে।

ভালো এবং মন্দের সংমিশ্রন এই করোনাভাইরাস যেই উহান থেকে করোনার উৎপত্তি সেই উহানেই এখন মানুষের জীবন স্বাভাবিক। উহানের মানুষ এখন নিয়মিত হাসছে খেলছে, যেখানে খুশী সেখানেই যাচ্ছে । শিশুরা নিশ্চিন্ত মনে স্কুলে যাচ্ছে, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় সব কিছুই এখন প্রান ফিরে পেয়েছে। হোটেল, মোটেল, রেষ্টুরেন্ট, ক্লাব, বার, জীম, শপিং সেন্টার, অফিস আদালত সব কিছুই এখন সেই আগের মতই।সবকিছুই এখন স্বাভাবিক। সেই সাথে বিশ্বের প্রিতিটি দেশই হয়তো স্বাভাবিক হবে। কিন্তু যারা হারিয়েছেন আপন জন তাঁরাই বুঝেন। তাঁরাই বুঝেন তাদের বেদন।

মনেই হবে না যে এখান থেকেই উৎপত্তি হয়েছিলো মানবজাতির সবচেয়ে ভয়াবহতম আতংকের নাম করোনা ভাইরাস।কভিড১৯ যেই উহান থেকে করোনা ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র বিশ্বে সেই উহানেই এখন আর মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক নয়। ঠিক এই সময়ে বৃটেনে বসে এমন খবর কি বিশ্বাস করা যায় ? কিন্তু এমনটাই হচ্ছে শতভাগ কভিড ফ্রি উহানের বর্তমান অবস্থা। অথচ বৃটেন আমেরিকা সহ সমগ্র বিশ্ব করোনা থাবায় রীতিমত হীমশিম খাচ্ছে কিন্তু কেনো? 

চায়না জানে কিভাবে ভয়াবহ এমন মরনব্যধীকে নিয়ন্ত্রন করতে হয়। যেই অর্থনীতির কথা চিন্তা করে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী লকডাউনের চিন্তা করতে করতেই সমগ্র বৃটেনে ছড়িয়ে পড়ে করোনা ঠিক এর বিপরীতে কেবল উহানে মাত্র কয়েকজনের করোনা হওয়ার পড়েই সমগ্র বিশ্ব দেখেছে বিশ্ব বানিজ্যের প্রানকেন্দ্র উহানকে কিভাবে চায়না সহ সমগ্র বিশ্ব থেকে বিছিন্ন করে দেয়া হয়, শুধু কি তাই উহান সিমান্তের অপার পাশের একটি প্রানীকেও উহানে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

বৃটেন, ইউরোপ কিংবা আমেরিকা কি এমন কঠিন বাস্তবতাকে মোকাবেলা করতে পেরেছে? পারেনি। মৃত্যুপুরী উহানকে দেখে সেইদিন বিশ্ব মহারথিরা অনেকেই নানান ধরনের বাজে মন্তব্য করেছেন অথচ আজ এই চায়নাই একচেটিয়া বিশ্ব বানিজ্য তাদের দখলে রেখেছে আর উন্নত বিশ্বের অর্থনীতির সূচক দিন দিন নীচের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বিগত ১টি বছর ধরে প্রতিদিন তারা করোনা যুদ্ধ মোকাবেলায় প্রায় পাগলপ্রায়। 

অথচ কভিড-১৯ এই  উহান থেকে ছড়িয়েছে কিন্তু সুনিপুণ ভাবে চায়না করোনাভাইরস মোকাবিলা করেছে। সেখানে বিশ্বের শক্তিধর, ক্ষমতাধর, অর্থনৈতিক শক্তি থাকা সত্যেও এক করোনা মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছে। 

আমার মনে হয় প্রথমে বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলি তেমন গুরুত্ব দেন নি অথবা বুঝে উঠার আগেই করোনাভাইরস ছড়িয়েছে। যেভাবে লক ডাউন দেওয়ার কথা ছিলো সেই ভাবে দিতে ব্যার্থ হয়েছেন। আর এরজন্য অকালেই ঝড়ে গেছে কয়েক লক্ষ মানুষের প্রাণ। 

সরকারি নির্দেশাবলি মেনে চললে  করোনা পরবর্তী জলবায়ু পরিবর্তনে আমরা অনেক সহায়তা করতে পারি। সব চেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে আমাদের এউয়ারনেস তৈরী করা। সকলের সহযোগিতায়ই হতে পারে জলবায়ু পরিবর্তনের সহয়ক।
  
আবহাওয়া দূষণের ফলে সারা বিশ্ব যে প্রতিকুলতার মধ্যে পরেছিল। এই করোনাভাইরসের ফলে সারা বিশ্ব এখন সব ধরনের যানবাহন ,হোক আকাশ পথ, নদী কিম্বা সাগর পথ, স্থল পথ,সব  ধরনের পথে, ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় বর্তমানে বায়ু দূষণ হচ্ছে না। যেখানে প্রতি মূহুর্তে উরোজাহাজ, স্টিমার, ট্রাক , গাড়ী, বাস, ইট ভাটা, কল কারখানার জ্বালানী তেল ,গ্যাস কিম্বা ফয়েলের কালো ধূয়ায় আকাশ ছিলো নিমজ্জিত।এখন সেখানে এক নির্মল দূষণ মুক্ত শান্তির আকাশ। 
  
জলবায়ু গবেষকরা মনে করছেন। করেনাভাইরাসে কিছু মানুষকে হারালেও পরবর্তী প্রজন্ম পাচ্ছে একটি নির্মল আকাশ।

বিশ্ব অর্থনৈতিক ভাবে যে ক্ষতি হয়েছে হয়তো পূর্ন করা সম্ভব না হলেও সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকার জন্য নতুন নতুন পরিকল্পনায় নতুন ভাবে এগিয়ে যাবে বিশ্ব। শান্তিতে বসবাস করবে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষ।

এই এক বছরে আমাদের জীবন যাত্রার এসেছে অনেক পরিবর্তন। একে অপর থেকে দূরুত্ব বজায় রাখা, বেশী লোক একত্রিত না হওয়া, মুখে মাক্স ব্যাবহার করা। অনেকে বিভিন্ন খারাপ অভ্যাস থেকেও ভালো পথে ফিরে এসেছেন। করোনাভাইরস মহামারিতে যদি ভালো দিক গুলি আমরা অনুসরণ করে চলতে পারি তা আমাদের সবার জন্য মংগল বয়ে আনবে।আসুন আমরা করোনা থেকে ভালো শিক্ষা গুলি গ্রহন করি।

একুশে সংবাদ/এআরএম

Link copied!