বেশ কয়েকদিন ধরেই আসন ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গুঞ্জন চলছে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে। আর এরইমধ্যে গতরাতে অনেকটা গোপনেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করে দু’দল। তবে সব জল্পনা-কল্পনায় যেন জল ঢেলে দিলো দুই পক্ষই। তারা বলছে- আপস হয়েছে, তবে আসন বণ্টন নিয়ে নয় বরং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে ষড়যন্ত্র ঠেকাতে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) আলাদা সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নু দাবি করেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে কোনো আলাপ হয়নি। কথা হয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিয়ে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে পিচফুল করা, ক্রেডিবল করা, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করা- এ অঙ্গীকার আমাদের রয়েছে। সেজন্যই আমরা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করছি। সিট ভাগাভাগি হয়েছে- এমন কোনো আলোচনা আমাদের ছিল না।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আবদার করছিলাম যে নির্বাচনে ভালো পরিবেশ চাই। নির্বাচন করবো কিনা- এটাই তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। সেজন্যই আলাপ-আলোচনা করে বলেছেন যে, আপনাদের তো এই প্রশ্ন নির্বাচন যেন ভালো হয়। এজন্য কি কি সাহায্য করতে পারি। আমরা বলেছি, আমাদের না আপনারা নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করেন।
ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের জানান, যারা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের প্রতিহত করবে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি। আর বনানীতে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, সমঝোতা নয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচন হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যে অবস্থায় আছে, বিএনপি আসে নাই অ্যান্টি আওয়ামী ভোট বেশি। এই ভোটটি আমরা পেতে পারি। সে আশা করেই কিন্তু আমরা আছি।
অন্যদিকে, ওবায়দুল কাদেরের দাবি, নির্বাচন বিরোধী অপকর্মকে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করতে হবে ভোটারদের নিয়ে। এটাই আসলে আমাদের আলাপ-আলোচনার মূল বিষয়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছে করলেই বাংলাদেশ নিয়ে কোনো একতরফা সিদ্ধান্ত দিতে পারবে না।
একুশে সংবাদ/চ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :