বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জোর করে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে পারবো না। একজন প্রবীণ নাগরিকের মৌলিক অধিকার ও সাংবিধানিক অধিকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আইনের দোহাই দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর পরিণতি ভালো হয় না।
তিনি বলেন, তাকে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা গণতান্ত্রিক উপায়ে যা করার তা করে যাবো। গণতন্ত্র বিশ্বাস করি বলেই এখনো আমরা এ ভাষায় কথা বলি। যে কোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ী থাকতে হবে।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে গুলশানে রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও আ স ম আবদুর রব, মোহাম্মদ নাসিম, পাকিস্তানের সাবেক পিএম নওয়াজ শরীফকেও বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছে তৎকালীন সরকার। যেই রোগের চিকিৎসা দেশে হওয়া সম্ভব নয়, সেজন্য বিদেশে নেয়া সংবিধান সম্মত। ১/১১ সরকার শেখ হাসিনাও বিদেশে গেছে।
খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনে শেখ হাসিনার রুচিপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, তার বক্তব্যে প্রমাণ হয়েছে তিনি আদালত থেকে প্রশাসন- সব নিয়ন্ত্রণ করেন। শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খালেদা জিয়াকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় যত দ্রুত সম্ভব খালেদা জিয়াকে বিদেশ চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, তা না হলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকারকে দায়ি থাকতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
একুশে সংবাদ/জ.ন.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :