গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার একজন রাজনীতিবিদকে রাষ্ট্রপতি না বানিয়ে একজন আমলাকে রাষ্ট্রপতি বানানোর পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আগ্রাসন প্রতিরোধ জাতীয় কমিটির আয়োজনে শনিবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে ‘সীমান্তে বিএসএফ’র গুলি থামবে কবে’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনেকে বলতে পারে এর প্রমাণ কি। প্রমাণটা খুব সোজা রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এ রাষ্ট্রপতি মৃদুভাষি, মুক্তিযোদ্ধা এবং আমলা। দীর্ঘদিন সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত এ আমলাকে (সেই ব্যাক্তিকে) যদি রাষ্ট্রপতি বানানো হয়, তাহলে তিনি সহজে টেলিফোনের মাধ্যমে সব ডিসি সাহেব থেকে শুরু করে ওসি সাহেব পর্যন্ত তিনি সহজে যোগাযোগ করতে পারবে।
একজন রাজনীতিবিদের কিছুটা হলেও বিবেক থাকে কিন্তু আমলাদের কোনো বিবেক থাকে না জানিয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, তারা সরকারের দালালি করে বেঁচে থাকেন। এর মাধ্যমে তারা সচিব থেকে সিনিয়র সচিব হয় এবং এর পরে তারা আইএমএফ এ যায়। সুতরাং এ লাভের আশায় আমলারা সরকারের খাদেমদারি করতে থাকে। আর এসব ব্যক্তিই হবে রাষ্ট্রপতি।
সরকার নির্বাচন নিয়ে একটা ভয়ানক পরিকল্পনা করছেন উল্লেখ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, একটা নিয়ম আছে সরকারি বেতন ভাতা নিয়ে কেউ তিন বছরের মধ্যে রাজনীতিতে আসতে পারবেন না। কিন্তু এইচটি ইমাম সাহেব মারা গেছেন তার জায়গায় এমন একজনকে নিয়োগ দিচ্ছেন যিনি কয়েক দিন আগেও কেবিনেট সেক্রেটারি ছিলেন। যিনি চাইলেই যেকোনো কেবিনেট সেক্রেটারি এবং ওসি সাহেবদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন। সুতরাং এটাই প্রমাণিত করে সরকার নির্বাচন নিয়ে একটা ভয়ানক পরিকল্পনা করছেন। এবার আর দিনের ভোট রাতে হবে না। ভোর বেলায় ৬০-৭০ ভাগ ভোট হবে ওসি সাবেরদের ও আমলাদের দিয়ে। বাকি ৩০ ভাগ হবে সকাল নয়টার পর। এইটা কি আমরা মেনে নিতে পারি। এর বিরুদ্ধে আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
আগামী নির্বাচনে সরকারকে প্রতিহত করতে বিরোধী দলগুলোকে লক্ষাধিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের পরামর্শ দিয়ে গণ স্বাস্থের এ প্রতিষ্ঠাতা বলেন, বিরোধীদলগুলো বলছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না বললেই তো হলো না। এটাকে প্রতিহত করতে হবে। কিন্তু সরকার তো নির্বাচন করে যাবে। তাহলে এজন্য আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। লক্ষাধিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগ দিয়ে তাদের ট্রেনিং দিতে হবে। যাতে করে তারা সারারাত ভোট কেন্দ্র পাহারা দিতে পারে। যাতে করে তারা কোনো ধরনের চক্রান্ত কার্যকর না করতে পারে।
ফেলানী হত্যার প্রতিবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের সামনের রাস্তাটি ফেলানীর নামে নামকরণের জন্য ঢাকার উত্তরের মেয়রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের ভারতে প্রেরণেরও সুপারিশ করেন তিনি।
একুশে সংবাদ/বা/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :