AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পদ—প্রত্যাশীদের আনা—গোনায় হৈ হৈ রব নেতাদের বাসা, ত্যাগীদের মূল্যায়ন চান তৃণমূল আ.লীগ


Ekushey Sangbad
নিজস্ব প্রতিবেদক
০৮:৪৭ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
পদ—প্রত্যাশীদের আনা—গোনায় হৈ হৈ রব নেতাদের বাসা, ত্যাগীদের মূল্যায়ন চান তৃণমূল আ.লীগ

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা—৫ আসনে এমপি হতে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা যে যেভাবে পারছে কর্মী—সমর্থক বাড়াচ্ছে। বিএনপি—জামায়াত ও জাতীয় পাটির কর্মীদের নিজ নিজ বলয়ে বাছে টানছে। এতে কৌশলে আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়ছে দেশজুড়ে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারির অভিযোগে একাধিক মামলার আসামী ও ভয়ঙ্কর শিবির ক্যাডাররাও।

 

তাদের যাচাই—বাচাই না করে, যে যেভাবে পারছে দলে টানছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দীর্ঘদিন যাবত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও বঙ্গবন্ধুর আর্দশপ্রেমী তৃণমূলের কট্টোরপন্থী নেতাকর্মীরা।

 

ইতিমধ্যে ইউনিট কমিটিতে বিএনপি—জামায়াত ও ভয়ঙ্কর অপরাধীরা কৌশলে ঢুকে পড়েছেন। যার কারণে সর্বশের্ষ ঢাকা—৫ আসনের এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু’র একনিষ্ট কর্মী এবং ৫০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ১৪নং ইউনিটের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০) কে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তার শহিদ ফারুক সড়কে দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। তবে আবু বক্কর সিদ্দিকের হত্যাকাণ্ডের পর আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিবাদ জানায়নি যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ।

 

এদিকে নতুনভাবে ডেমরা থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটিতে নিজেদের স্থান করে নিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বাসাবাড়ি ও অফিসে তৎবির চালাচ্ছেন হাইব্রিডরা। তবে থানা কমিটিতে ডেমরার বাইরে কাউকে নেতা নির্বাচিত করলে মেনে নিবেন না এখানকার তৃণমূল আওয়ামী লীগ।

 

ইতোমধ্যে কর্মী—সমর্থকদের দিয়ে নিজের প্রচারনার প্রতিযোগিতা করছেন। এর বাইরে দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অফিস—বাসাবাড়িতে প্রতিদিন ভীড় করছেন পদ—পদবী প্রতাশী থানা ওয়ার্ডের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল নেতাদের বাস ভবন ও অফিসে কর্মী—সমর্থকদের নিয়ে হাজির হচ্ছেন এবং নিজেদের জানান দিচ্ছেন।

 

আজন্ম আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত নৌকা সমর্থিত ৬৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুদুর রহমান মোল্লা বাবুল। ন্যায় পরায়ন ও আর্দশবান মানুষ হিসেবে ৬৪নং ওয়ার্ডে ছোট—বড় সবাই তাকে অভিভাবক মানেন। তাঁর বড় ভাই প্রয়াত এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা ঢাকা—৫ নির্বাচনী এলাকায় দিন—রাত পরিশ্রম করে নৌকা ঘাটি হিসেবে পরিচিত করেছেন। টানা চার বারের এমপি ছিলেন তিনি। স্বাধীনতার পরবর্তীতে অদ্যবধি তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। একই ওয়ার্ডে দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রলীগ—যুবলীগ এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের সকল আন্দোলন—সংগ্রামে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন আরেক ত্যাগী—পরীক্ষিত নেতা মো: সোহেল খান। বিএনপি—জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা সময়ে একাধিকবার মিথ্যা মামলা—হামলার শিকার হয়েছেন এবং জেল খেটেছেন সোহেল খান।

 

তবে ডেমরা থানা ও ওয়ার্ডগুলোর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের পর দলের পরীক্ষিত নেতা মাজহারুল ইসলাম খসরু অনেকটাই আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। তিনি সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিন যাবত নেতা ছিলেন। বর্তমানে ৬৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দু:সময়ের কাণ্ডারী হিসেবে তিনি  পরিচিত। তিনি এই ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে সিভি জমা দিয়েছেন। একই ওয়ার্ডে সিভি জমা দিয়েছেন সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মো. আজিজ প্রধান। তিনি সাবেক সারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

 

ডিএসসিসির ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক যুবলীগ সভাপতি মো. দুলাল খাঁন, তিনি তার রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শেই চলেছেন বলে এলাকায় ব্যাপক সুনাম রয়েছে। ডিএসসিসির ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সম্পাদক পদে সিভি জমা দিয়েছেন মো. মনির হোসেন লিটন, ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতা হিসেবেই এলাকায় তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তার বাবাসহ বংশীয়ভাবে তারা আওয়ামী লীগার হিসেবে পরিচিত।

 

এদিকে ডিএসসিসির ৭০ নম্বর ওয়ার্ডে সভাপতি পদ প্রত্যাশি হিসেবে রয়েছেন সাবে ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমান উল্লাহ বেপরী। তিনি জেনুইন আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে এলাকায় সুনামের সহিত রয়েছেন।   

 

তবে পদ—পদবী পেতে যারা বিভিন্ন জায়গায় তৎবির করছেন তাদের বিষয়ে সর্তক আছেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা—৫ নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সারোয়ার কবির এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম।

 

ডেমরা থানার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, দলের সু—সময়ে অনেকেই স্থানীয় এমপি ও থানার সভাপতি/সম্পাদকদের মোটা অংকের অর্থ দিয়ে রাতারাতি আওয়ামী লীগের নেতা—কর্মী বনে গেছেন। অথচ আওয়ামী লীগের দু:সময়ে রাজপথে বিএনপি—জামাতের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন—সংগ্রামে কাউকে দেখা যায়নি। তাই এবার তাদের দলের কোনো ধরনের পদ—পদবী দেওয়া হলে মেনে নিবেন না তৃণমূল আওয়ামী লীগ। তাদের দাবি, টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। এই সুবাধে কতিপয় সন্ত্রাসী—ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ নেতাদের হাত ধরে হঠাৎ আওয়ামী লীগ বনে গেছে।

 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, রাজধানীর ডেমরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি ঘাটি। দীর্ঘ ১৮ বছর পরে ডেমরায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছে বলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুব খুশি। তবে দলীয় কোন্দল সারা পৃথিবীতে রয়েছে। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের হাইপ্রোফাইল নেতৃবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সমন্বয়ে প্রার্থীদের বিষয়ে বিচার বিবেচনা করে খোঁজ খবর নিয়ে ডেমরা থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে।   

 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী একুশে সংবাদ ডটকম কে বলেন, নেতাকর্মীরা সাক্ষাৎ করতে আসতেই পারে। আমি তাদের সাধ্যমতো আপ্যায়ন করবো। তবে আমার কাছে তৎবির করে কোনো লাভ হবে না। তিনি বলেন, বিগত দিনে দলের জন্য যারা শ্রমদিয়েছেন এবং দলের প্রয়োজনে নেতাদের নির্দেশে কাজ করেছেন আমরা কেবল তাদেরই থানা—ওয়ার্ডে নির্বাচিত করবো। দলের পরীক্ষিত সৈনিকদের ছাড়া অন্য দল থেকে আগত কাউয়াদের আমরা নেতা বানাতে পারবো না। এটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। আমরা শেখ হাসিনা কর্মী, উনি যে নির্দেশ দিবেন আমরা সেভাবেই কাজ করবো।

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি একুশে সংবাদ  ডটকম কে বলেন, ক্লিন ইমেজের নেতাদের মাধ্যমে ওয়ার্ড ও ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হবে। কোনো ধরনের বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ ও ভূমিদস্যুদের কমিটিতে স্থান পাবে না।

 

একুশে সংবাদ.কম/স.ই.জা.হা

Link copied!