AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

উন্নয়নশীল  বাংলাদেশ নির্মাণে  আওয়ামীলীগ সরকারের ভূমিকা


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
১০:৪৫ পিএম, ২৫ জুলাই, ২০২১
উন্নয়নশীল  বাংলাদেশ নির্মাণে  আওয়ামীলীগ সরকারের ভূমিকা

বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাস ও সংস্কৃতি নির্ভর সংগঠনের নাম হল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ । যার জন্মের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সম্পর্ক ছিল ।কেননা,এই সংগঠনতটির নেতৃত্বে যারা ছিলেন তারা দেশ স্বাধীনতায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন তাই মূলত এই ধারনার সূত্রপাত। যখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান সরকার এবং এই দলটির প্রধান হিসাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন তখন বাংলাদেশকে থলাবিহীন ঝুড়ির সাথে তুলনা করা হয়েছিল।

সেই সময়ের বাংলাদেশে ছিল খাদ্য সঙ্কট, অর্থনৈতিক দৈন্যতা, অবকাঠামোগত ভঙ্গুরতা, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা, আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি সম্পন্ন একটি দেশ। বাঙ্গালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রাহমান অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সপরিবারই প্রাণ দিতে হয়েছিল ঘাতকের গুলিতে। তারপর দীর্ঘ সময়ের পরে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসে আওয়ামীলীগ।

এই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা। এরপর ২০০৯ সালের ৬   জানুয়ারী, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী এবং ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারী চতুর্থ মেয়াদে ক্ষমতায় আসীন হয়ে দেশ চালাচ্ছেন আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।


এই সরকারের বেশ কিছু সফলতা রয়েছে তা আলোচনা করার চেষ্টা করব । আবার ব্যর্থতা ও যে নেই তা বলা যাবে না। যখন ব্যর্থতার চাইতে সফলতা বেশি আসে তখন ব্যর্থতা মানুষের চোখে পড়ে না তেমন। এই সরকারের সফলতার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি)থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিবর্তন, দ্রুতগতিসম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ আজকে পৃথিবীর আকাশ সীমানায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে, ঢাকার বুকে মেট্রো রেল চালু করা,পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যৎ কেন্দ্র স্থাপন, এমডিজি অর্জন, এসডিজি বাস্তবায়ন সহ শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা, খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণতা,দরিদ্রসীমা হ্রাস, আশ্রায়ন প্রকল্প,কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন ও মাতৃমৃত্যু হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল ও বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রদান, বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও  মহামারি কোভিড মোকাবিলা ইত্যাদি।


শিক্ষাকে সহজলভ্য করে তুলার জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণ, নারী শিক্ষাকে উৎসাহ দেয়ার জন্য উপবৃত্তি চালু, প্রায় ২৬ হাজার ১৯৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নতুন করে জাতীয়করণ। বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের চাকুরী সরকারিকরণ। সুবিধাবঞ্চিত গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের জন্য গঠন করা হয়েছে “শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট”। এছাড়া স্কুলে শিশু ভর্তির শতকরা হার ও বৃদ্ধি পেয়েছে ।


শিশুদের টিকাদান কর্মসূচির সফলতার পাশাপাশি তৃনমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার জন্য গঠন করা হয়েছে সারা দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিক। বিপুল সংখ্যক উপজেলা হাসপাতালের সিট বৃদ্ধি করা হয়েছে, জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজের শয্যা সংখা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিভিন্ন উদ্যেগের কারণে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে । নতুন কিছু মেডিকেল কলেজ নির্মাণ করে জনশক্তি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ।


এই সরকারের আমলে ইউনিয়ন ডিজিটাল কেন্দ্র থেকে শুরু করে বর্তমানে ডিসি, এসপি, শান্তি মিশন সহ বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক এর পদ পর্যন্ত আজকে নারীদের দখলে আছে এবং তারা সুনাম ও বয়ে আনছেন।


ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দেশের মানুষকে দেখিয়েছিল তা আজ বাস্তবায়নের পথে বাংলাদেশ হাঁটছে । দেশের তৃনমূল পর্যায়ে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশের ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপন করা হয়েছে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার। এখান থেকে মানুষ জন্ম নিবন্ধন থেকে শুরু করে বিমানের টিকেট পর্যন্ত করতে পারে। তাই মানুষের জীবন এখন অনেক সহজ হয়ে গেছে। দেশের সবকটি উপজেলাকে আনা হয়েছে ইন্টারনেট এর আওতায়। সেবা প্রধান প্রক্রিয়া সহজ ও স্বচ্ছ করতে চালু করা হয়েছে ই- পেমেন্ট ও মোবাইল ব্যাংকিং । সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পাদন করার বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছে ।

টেলিযোগাযোগের উন্নয়নের জোরালো পদক্ষেপের কারণে ১২ কোটির অধিক সংখ্যক জনগণ এই সেবা গ্রহণ করতেছে এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ও প্রায় সাড়ে ৪ কোটির উপরে।৪ -জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক ও বাংলাদেশে চলছে এখন ।


বর্তমান বিশ্বের ১৫৭ টি দেশে বাংলাদেশের প্রায় ৮৬ লক্ষের বেশি শ্রমিক কাজ করে রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু এখনো তারা অবহেলিত। তাই সরকার তাদেরকে এই অবদানের জন্য অন্ততপক্ষে ভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে। তাতে তারা বিভিন্ন হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সক্ষম হবে।


বাংলাদেশে জাতীয় গ্রেডে অতিরিক্ত ৬ হাজারেরও বেশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজন করা হয়েছে এবং প্রায় ৬৫ টি নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে তাতে বিদ্যুৎ ঘাটটি পূরণ হয়ে বর্তমানে রিজার্ভ বিদ্যুৎ থাকছে এছাড়া এর গ্রাহক ও বৃদ্ধি পেয়েছে ।


ভূমি ব্যবস্থাকে  আধুনিকায়ন করার জন্য মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান কম্পিউটারাইজেশন করা হইতেছে পর্যায়ক্রমে । প্রণীত হয়েছে “কৃষি সুরক্ষা ও ভূমি ব্যবহার আইন , ২০১২ এর খসড়া“।


করোনা ভাইরাসে যখন সারা বিশ্ব বিপর্যস্ত তখন বাংলাদেশ বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশের সাথে তাল মিলিয়ে টিকা সংগ্রহ করেছে এবং সরকারও জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে । দক্ষ কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে ভারত এগিয়ে এসেছে অক্সিজেন নিয়ে ।


যেখানে রোহিঙ্গা ছিল বিশ্ব সঙ্কট সেখানে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে এই সমস্যার একটি সুন্দর সমাধান দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও যারা এরকম সমস্যায় পড়বে বাংলাদেশ তাদের পাশে থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার ।


যদিও বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে তবুও সাগর রুনির মতো সাংবাদিক দম্পতির বিচার কাজ দেখে অনেকে আশাহত হয়ে পড়েছেন, তাছাড়া বর্তমান আলোচিত মুনিয়া হত্যা নিয়ে অনেকের অনেক প্রশ্ন? টাকা বড় না আইন বড়? তাইতো গণমাধ্যম, সাংবাদিক, মিডিয়াকর্মীগণ এতো নীরব কেন? আশাকরি সরকার এসব বিষয়ে দক্ষতার পরিচয় দিবেন।


এ ছাড়া এই দলটি অনেক পুরনো তাই নেতা কর্মীর অভাব নেই। যদিও শুদ্ধ অভিযান চলছে তবুও বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য যেখানে আওয়ামীলীগ এর ঘাঁটি হিসাবে বিবেচিত হয়, সেখানে এখনো অনেক শিক্ষিত , স্মার্ট কর্মী আছেন যারা আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনে নেতা হওয়ার যোগ্যতা রাখেন কিন্তু দলিও গ্রুপিং কিংবা চামচামির কারণে তাদের সঠিক মুল্যায়ন হচ্ছে না বলে অনেকে মনে করেন। তাই অনেক জায়গাতে অদক্ষ, কম শিক্ষিত কিংবা বয়সের কারণে অনেক অক্ষম লোক দিয়ে দলের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রত্যেক জায়গাতে একটা অনুসন্ধানী দল পাঠানো উচিত বলে কেউ কেউ ধারনা পোষণ করেন ।

এছাড়া কেউ কেউ নেতা হওয়ার কারণে ক্ষমতার দাপটে অহংকারী হয়ে উঠেছেন এবং পদ বাণিজ্যের বিষয়টা আড়ালে থেকে যায়। এসব বিষয়ে যদি দলীয় প্রধান নজর দেন তাহলে হয়ত দলটির ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল হবে বলে
দলের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীরা মনে করেন ।
 

Link copied!