AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ!


Ekushey Sangbad
একুশে সংবাদ ডেস্ক
০৮:২৮ এএম, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২০
কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ!

পৌষের আগমন  না ঘটতেই যেন শীত  এসে হাজির। চারদিকে কনকনে বাতাস, নেই কোথাও সূর্যের দেখা। বাংলা পৌষ ও মাঘ এ দু মাস শীতকাল হলেও  এ বছর  নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীত আরম্ভ হয়। সাধারণত এই শীত ফেব্রুয়ারি মাসে যেয়ে শেষ হয়। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে তীব্র শীত থাকে।

শীতের এ  সময়টা কারো জন্য আনন্দদায়ক। আবার দুস্থ, অসহায়, ছিন্নমূল মানুষের জন্য এটা খুব যন্ত্রণারও বটে। কেউ হয়তো শীতে বনভোজনে যাচ্ছে, গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক পরিবেশে বসে ধোঁয়া উড়ানো পিঠাপুলি খাচ্ছে বেশ আয়েশ করে। তাদের কাছে শীত মানেই যেন আনন্দ। শীত এলে নানান রকমের পিঠার স্বাদ নিতেই ব্যস্ত তারা। এ তো গেল এক শ্রেণীর বিলাসবহুল মানুষের কথা।

আমাদের সমাজে নিম্নবিত্তের সংখ্যাটাই একটু বেশী।শীত এলেই যেনো তাদের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। বৈশাখ- জ্যৈষ্ঠের উত্তপ্ত গরমটাই যেন ভাল ছিল তাদের কাছে। বলছি - ছিন্নমূল, অসহায়, বস্তিবাসী, দিনমজুর মানুষদের কথা। যাদের অধিকাংশেরই রাত কাটে শহরের রেল স্টেশন আর ফুটপাতে।নেই তাদের গৃহের ব্যবস্থা, খোলা আকাশের নিচেই তাদের রাত্রিযাপন।

বিকেল গড়িয়ে রাত হলে বাতাসের মাত্রাটাও বেশি বেড়ে যায়। দারিদ্র্যে চাপা পড়েছে তারা। এই শীতে যেখানে শীত কাটাতে প্রয়োজন পড়ছে একের পর এক শীত বস্র, ঘুমাতে যেখানে কম্বল- লেপ ছাড়া বিকল্প কিছু ভাবা যায় না- সেখানে এই ছিন্নমূল মানুষেরা খোলা আকাশের নিচে বস্ত্রহীন ভাবে ঘুমাচ্ছে। দারিদ্র্যের কাছে নত স্বীকার করে তাদের এই জীবন সংসার।

সাধারণত দিনমজুর, রিকশাচালক কিংবা যারা ভিক্ষাবৃত্তি করে চলে তারাই এ ফুটপাতের বাসিন্দা হয়ে থাকে। শহরের রাস্তায় এরূপ মানুষের সংখ্যা অগনিত। বস্রহীন এ মানুষেরা খোলামেলা পরিবেশে থেকে আক্রান্ত হচ্ছে ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগ সহ ডায়রিয়া ও টাইফয়েডে। একে তো নেই বস্র আর বাসস্থান, সেখানে অসুখ হলে চিকিৎসা করানো টা যেন তাদের কাছে বিলাসিতা বলা চলে। প্রচন্ড শীতে বাইরের পরিবেশে কাজ করাটা যেন তাদের জন্য দুর্বোধ্য হয়ে পড়েছে।

এ পরিস্থিতিতে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে মানবিকতার হাত নিয়ে। সাধারণ মানুষের পক্ষে এত সংখ্যক মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা হয়তো করা সম্ভব না তবে চাইলেই তাদের বস্ত্রের সমস্যার সমাধান করা যায়। মানবিকতা জাগ্রত করে তাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত প্রত্যেক বিত্তবান মানুষের। কেননা, এই মানুষেরাও তো সমাজেরই অংশ। তাদের বাদ দিয়ে তো সমাজের উন্নয়ন সম্ভব নয়।

উম্মে হানী
শিক্ষার্থী,শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

একুশে সংবাদ /টি/আই

Link copied!