দেশে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনে ডেঙ্গুতে ২০ জনের মৃত্য এবং পাঁচ হাজার ২০০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি মাসের প্রথম ১৩ দিনের তথ্য অনুযায়ী, ১ সেপ্টেম্বর ডেঙ্গুতে তিনজনের মৃত্যু এবং ৪৭৮ জন হাসপাতালে, ২ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ২৮৯ জন হাসপাতালে, ৩ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৩৩৫ জন হাসপাতালে, ৪ সেপ্টেম্বর কারও মৃত্যু না হলেও ৩৮৫ জন হাসপাতালে, ৫ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৩৫৮ জন হাসপাতালে এবং ৬ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ১১৮ জন হাসপাতালে, ৭ সেপ্টেম্বর তিনজনের মৃত্যু এবং ৪০৩ জন হাসপাতালে, ৮ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৪৬৩ জন হাসপাতালে, ৯ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৬১৫ জন হাসপাতালে, ১০ সেপ্টেম্বর পাঁচজন মৃত্যু এবং ৫৩৪ জন হাসপাতালে, ১১ সেপ্টেম্বর কারও মৃত্যু না হলেও ৪৬৫ জন হাসপাতালে, ১২ সেপ্টেম্বর একজনের মৃত্যু এবং ৫৬১ জন হাসপাতালে এবং ১৩ সেপ্টেম্বর কারও মৃত্যু না হলেও ১৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৮ হাজার ৪১ জন। এরমেধ্য সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ১৬ হাজার ১৯৩ জন। মারা গেছেন ১০৩ জন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলছেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
একুশে সংবাদ/আর/ট/এন
আপনার মতামত লিখুন :