গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার সরকারি শেখ রাসেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র সম্রাট বাড়ৈকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে ঐ কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্র কৌশিক রায় ও তার বন্ধুরা।
শনিবার (২৮ মে ) উপজেলার সরকারি শেখ রাসেল কলেজের ছাত্রাবাসের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। সম্রাট বাড়ৈ মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী গ্রামের সুবাস বাড়ৈর ছেলে।
কলেজ হোস্টেলে থাকা প্রথম বর্ষের ছাত্র সবুজ ও প্রত্যক্ষদর্শী ছাত্রদের কাছ থেকে জানা যায়, হোস্টেলে দায়িত্বরত প্রভাষক কুদ্দুস মোল্লা কলেজ গেটের চাবি সম্রাটের কাছে রেখে যায়,এই চাবি পাশের রুমে থাকা ২য় বর্ষের ছাত্র কৌশিক রায় সম্রাটের কাছ থেকে নিয়ে যায়, পরে মোবাইল ফোনে চাবি চাইতে গেলে সে সম্রাটকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
স্যারে চাবি চাইছে এ কথা বলার পরেও আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তখন সম্রাট ও তাকে একটা গালি দেয়। এরপর কৌশিক ৮ থেকে ৯ জন বন্ধুদের নিয়ে এসে হোষ্টেলে ঢুকে সম্রাট কে বেধড়ক কিল ঘুষি লাথি মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেয়। আমরা দৌড়ে গিয়ে তাদেরকে থামিয়ে দেই।
ততক্ষণে সম্রাটের শরীরের বিভিন্ন অংশে ফুলে যায় এবং রক্ত জমাট বাঁধে। পরে স্যারের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি মিমাংসা করে দেয়ার কথা বলে কালক্ষেপণ করেন।
সম্রাটের মা তুলিকা বাড়ৈ বলেন, মারামারির দুই দিন হয়ে যাওয়ার পরেও সম্রাটের চিকিৎসা করার চিন্তাও করেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। আমি স্যারদের হাত পায়ে ধরি। আমার ছেলেকে ছেড়ে দেন আমি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুরে কোথাও নিয়ে যাবো কিন্তু তারা আমার কথা শুনেনি, আরো বলে কাউকে বলার দরকার নেই আমরা বিষয়টি মিমাংসা করে দেব। এই সব বলে আমার ছেলের কোন চিকিৎসা হয়নি। চিকিৎসায় বিলম্ব হয়ে পড়ায় সম্রাট এখন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মারপিটের দুইদিন পরে সম্রাট খুব অসুস্থ হয়ে পড়লে জোরপূর্বক আমি আমার ছেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এলাবাসীর সহযোগিতায় (এসময় কলেজের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন) প্রথমে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওখান থেকে ফরিদপুর ভর্তি করা হয়।
ফরিদপুর থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এবিষয়ে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কোন ধরনের যোগাযোগ এবং সহযোগিতা কিছুই করেন আমাদের।
শেখ রাসেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রনোদা প্রসাদ মন্ডল এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি মারপিট এর কথা স্বীকার করে বলেন এই বিষয়ে রোগির আত্মীয়ের সাথে আমি যোগাযোগ রাখি।
এ ব্যাপারে গতকাল (৪জুন) কোটালীপাড়া থানায় একটা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
একুশে সংবাদকম/স.ব.জা.হা
আপনার মতামত লিখুন :